স্টাফ রিপোর্টার-
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের অভিযোগে মো. ফজলুল হক নামের এক পোলিং এজেন্টকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে জেলার আহমাদিয়া স্কুল কেন্দ্রে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম। দণ্ডিত মো. ফজলুল হক নোয়াখালী সদর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী একেএম শামছুদ্দিন জেহানের পোলিং এজেন্ট মো. ফজলুল হক অবৈধভাবে গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার চেষ্টা করেন। পরিদর্শনে গিয়ে তখন হাতেনাতে ধরে ফেলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম। এরপর তিনি উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর ৭৮ বিধিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাগ্রস্তকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাই অবৈধভাবে গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় ফজলুল হককে হাতেনাতে ধরা হয়। তারপর বিধি অনুযায়ী কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ। বুধবার সকাল ৮টায় তিনটি উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়নের ৩৫৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তিনটি উপজেলায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১২ লাখ ৭ হাজার ৫৮২ জন। এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এতে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে লড়ছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : এডভোকেট সালাহ উদ্দিন মাহমুদ মাসুম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অহিদ উদ্দিন মাহমুদ মুকুল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া