স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভাঙচুর ও শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ উঠা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সোহাগ দুঃখপ্রকাশ করে তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেন, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এবিএম সানা উল্লাহ এবং হেনস্তার শিকার ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলামের সাথে যৌথ ছবি সহ এক পোস্টে লিখেন। পোস্টে তিনি বলেন, গতকাল একজন শিক্ষকের সাথে আমাকে নিয়ে একটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
যা ছিল একান্তই আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
তবুও কেউ যদি উক্ত ভিডিও'র মাধ্যমে কোন প্রকার ভুল বার্তা পেয়ে থাকেন বা ধারণা পোষণ করে থাকেন, দয়া করে ব্যাপারটি আন্তরিকভাবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এছাড়াও ওই ছাত্রদল নেতা তার ফেসবুক পোস্টে আরো লিখেন, একজন শিক্ষক পিতৃসমতুল্য। আমাদের অনেক আবদার নিয়ে পিতার সাথেও ভুল বোঝাবুঝি হয়।
এ ব্যাপারটাকেও সেভাবে বিবেচনা করতে পারেন।
আমরা ছাত্ররা হয়তো অনিচ্ছাকৃত ভুল করবো, শিক্ষকরা সেটাকে ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পথে চলার দিক নির্দেশনা দিবেন।
এটাই ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের সৌন্দর্য।
এদিকে আজ নোয়াখালী সরকারি কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হেনস্তার প্রতিবাদে শ্রেণী কার্যক্রম বয়কটের ডাক দেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেন বলেন, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সবার সামনে ক্ষমা চেয়েছেন এবং তাদের দলের জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবেনা বলে কথা দিয়েছেন। ঢাকা থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করায় শিক্ষকরা সাময়িকভাবে ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : এডভোকেট সালাহ উদ্দিন মাহমুদ মাসুম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অহিদ উদ্দিন মাহমুদ মুকুল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া