স্টাফ রির্পোটার:
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার রাতে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ওই ছাত্রের নাম শামীম আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (৩১ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ছাত্র তার বান্ধুবীদের নিয়ে হাউজিং এলাকায় মেস-বাসা ভাড়ার সন্ধানে বের হন। পথে তাদের পিছু নেয় কয়েকজন বখাটে। একপর্যায়ে বখাটেরা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত (ইভটিজিং) করলে প্রতিবাদ জানান শামীম। প্রতিবাদের জেরে ৬-৭ জনের সংঘবদ্ধ বখাটে দল নোবিপ্রবির ওই ছাত্রের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন শামীম। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শামীম আহমেদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ভুক্তোভোগী ছাত্রের হাতে ও পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। তার হাতের একটি আঙুল ভেঙে গেছে। আঙুলের চিকিৎসার জন্য অপারেশন করতে হবে। এরই মধ্যে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন বলেন, এটি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসে। তাদের ওপর এমন হামলা মোটেও কাম্য নয়। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেব।
এদিকে এলাকাবাসীরা জানায় দীর্ঘদিন থেকে হাউজিং এলাকার বালূর মাঠে সন্ধ্যার পরে অহরহ এই সব ঘটনা ঘটছে। এলাবাসী দায়ী করছে ছোট ছোট অবৈধ দোকান তুলে নেশা জাতীয় জিনিস ও ফুসকা সহ বিভিন্ন দোকান তুলে কিশোর গ্যায়ের আড্ডাখানায় পরিনত করা হয়েছে।