স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।
আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মোঃ মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিম।
নোবিপ্রবি আইকিউএসি “নেভিগেটিং কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যান্ড সফ্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন হায়ার এডুকেশন: উইথ রেফারেন্স টু এপিএ” শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান ও দপ্তর এবং সেল পরিচালকবৃন্দসহ এপিএ মনিটরিং টিমের সদস্যরা অংশ নেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির (আইআইটি) পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ টিম লিডার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন ও আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।
সেমিনারে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, বর্তমানে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা বলছি। এ লক্ষ্য অর্জনে সবার আগে নাগরিকদের “স্মার্ট সিটিজেন” হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সফ্ট স্কিলের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য করে তৈরি করতে হবে। তাহলে গ্র্যাজুয়েটরা চাকরীক্ষেত্রে ভালো করবে। যা সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এপিএতে উচ্চশিক্ষার প্রসার, গুণগত মান, গবেষণা, উদ্ভাবন ও কোলাবরেশনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সেমিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এপিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এক্ষেত্রে ইউজিসির মানদন্ডে নোবিপ্রবির অবস্থানে ক্রমেই উন্নতি ঘটছে। আমরা সামনের দিনে আরো ভালো করতে চাই। সে লক্ষ্যেই আজকের এ সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি, এ সেমিনার আমাদের আগামীর পাথেয় নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, কম বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও নোবিপ্রবি গবেষণা খাতে খুবই ভালো করছে। এর স্বীকৃতিও মিলছে। মানসম্মত গবেষণা ও প্রকাশনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যেই নোবিপ্রবির গবেষণা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, এজন্য আমরা ইউজিসির প্রতি কৃতজ্ঞ।
মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে এপিএ দারুণভাবে ভূমিকা রাখছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নোবিপ্রবি সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।