স্টাফ রিপোর্টার-
জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নোয়াখালী সুবর্নচরের উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামে স্বামী স্ত্রী সহ একই পরিবারে ৪ জন কে কুপিয়ে জখম ও পিটিয়ে মাথা ও হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে বেলালের নেতৃত্বে মোশারফ হোসেন তৌহিদ ও বিজয় সহ কয়েকজন।
এই ঘটনায় গুরুত্বর অবস্থায় আহত জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৭) তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪০) কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এবং ছেলে আক্তার হোসেন ও মেয়ে নাজমা বেগমকে সূবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করিলেও ঘটনার ৩ দিন পরেও জোরদার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে পরে দুপক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগেও গত বছর একই কায়দায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর এর পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ২৫০শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দম্পতি কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, গত ২০ বছর থেকে কবলা মূলে মালিক ও দখল থাকিয়া পরিবার সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছি। উক্ত জমিতে কাজ করতে গেলে হঠাৎ বেলালের নেতৃত্বে মোশারফ হোসেন তৌহিদ ও বিজয় অতর্কিত হামলা চালায় ও আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে আমার আত্মচিৎকারে আমার স্ত্রী আলেয়া বেগম ও আমার ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও বেদম মারধর করে ও আমার স্ত্রীর হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয় এবং তার শ্রীলতাহানী করে।পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
চর জব্বর থানার এস আই আনসারুল্যাহ সত্যতা স্বীকার করে বলেন দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে এবং হাসপাতালে ও ভর্তি আছে দুই পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।