২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগ নেতার নকল, এক্সপেল করায় শিক্ষকের সাথে দুর্ব্যবহার ও ফটক আটকে আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার:
সেমিস্টার পরীক্ষার হলে নকল করার অপরাধে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে এক্সপেল করায় হল গার্ডে থাকা শিক্ষকের সাথে অসদাচরণ ও ক্যাম্পাসের মূল ফটক আটকে শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষায় মোবাইলসহ এ নকলের ঘটনা ঘটে। নকলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মাহবুব আল হোসেন রাফি।তিনি শাখা ছাত্রলীগের অন্তর্গত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং এ ছাত্রলীগ নেতার পক্ষ নিয়ে উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে দিকে তেড়ে গিয়ে দুর্ব্যবহার করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষা চলাকালীন হল গার্ডে থাকা শিক্ষকদের তোয়াক্কা না করে মোবাইল বের করে লিখতে থাকেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাফি। পরীক্ষার গার্ডে থাকা এক শিক্ষিকা তাকে নকল করতে বারণ করলেও তিনি নকল চালিয়ে যান।পরবর্তীতে তার খাতা নিয়ে তাকে এক্সপেল করে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কল করেন তিনি।

সুত্র জনায়, শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে হল গার্ডে থাকা শিক্ষকদের কাছে অভিযুক্ত রাফির খাতা এক্সপেল করার কারণ জানতে চান। কারণ শুনে তারা রাফির কাজকে বৈধ বলে দাবি করেন এবং তারা বলেন শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারলে শিক্ষার্থীরাও পারবে।কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাহানা রহমান ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। এসময় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে উপস্থিত সকল শিক্ষকদের দিকে তেড়ে গিয়ে দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ।

পরবর্তীতে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট,পকেট গেইট,প্রশাসনিক ভবনের গেইট ও একাডেমিক ভবনগুলোর গেইট আটকে দিয়ে প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গাত্মক স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গেইট আটকে দেওয়ায় ভবন গুলোতে আটকে পড়েন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।ফলে হয়রানিতে পড়েন তারা।

উপস্থিত শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ফটক আটকে স্লোগান দেওয়ার ভিডিও নিতে গেলে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (তানিম আব্দুল্লাহ)।এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তেড়ে যান ছাত্রলীগ কর্মী জোবায়ের কবির,আবু রিফাত নূর শোহাইব ও নাভিদ নেওয়াজসহ অন্যান্য কর্মীরা।

সর্বাধিক পঠিত

সংবিধান দিয়েই ফ্যাস্টিট হাসিনা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে:ইসহাক খন্দকার

নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগ নেতার নকল, এক্সপেল করায় শিক্ষকের সাথে দুর্ব্যবহার ও ফটক আটকে আন্দোলন

আপডেট: ০৪:৫৪:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:
সেমিস্টার পরীক্ষার হলে নকল করার অপরাধে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে এক্সপেল করায় হল গার্ডে থাকা শিক্ষকের সাথে অসদাচরণ ও ক্যাম্পাসের মূল ফটক আটকে শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষায় মোবাইলসহ এ নকলের ঘটনা ঘটে। নকলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মাহবুব আল হোসেন রাফি।তিনি শাখা ছাত্রলীগের অন্তর্গত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং এ ছাত্রলীগ নেতার পক্ষ নিয়ে উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে দিকে তেড়ে গিয়ে দুর্ব্যবহার করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষা চলাকালীন হল গার্ডে থাকা শিক্ষকদের তোয়াক্কা না করে মোবাইল বের করে লিখতে থাকেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাফি। পরীক্ষার গার্ডে থাকা এক শিক্ষিকা তাকে নকল করতে বারণ করলেও তিনি নকল চালিয়ে যান।পরবর্তীতে তার খাতা নিয়ে তাকে এক্সপেল করে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কল করেন তিনি।

সুত্র জনায়, শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে হল গার্ডে থাকা শিক্ষকদের কাছে অভিযুক্ত রাফির খাতা এক্সপেল করার কারণ জানতে চান। কারণ শুনে তারা রাফির কাজকে বৈধ বলে দাবি করেন এবং তারা বলেন শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারলে শিক্ষার্থীরাও পারবে।কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাহানা রহমান ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। এসময় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে উপস্থিত সকল শিক্ষকদের দিকে তেড়ে গিয়ে দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ।

পরবর্তীতে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট,পকেট গেইট,প্রশাসনিক ভবনের গেইট ও একাডেমিক ভবনগুলোর গেইট আটকে দিয়ে প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গাত্মক স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গেইট আটকে দেওয়ায় ভবন গুলোতে আটকে পড়েন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।ফলে হয়রানিতে পড়েন তারা।

উপস্থিত শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ফটক আটকে স্লোগান দেওয়ার ভিডিও নিতে গেলে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (তানিম আব্দুল্লাহ)।এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তেড়ে যান ছাত্রলীগ কর্মী জোবায়ের কবির,আবু রিফাত নূর শোহাইব ও নাভিদ নেওয়াজসহ অন্যান্য কর্মীরা।