১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে ভূমি কর্মকর্তার গাড়ি চালকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একাধিক পরিবার

  • আপডেট: ০৪:০১:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • ২০৪৫

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মো.শাহীন মিয়ার মাস্টার রুলের গাড়ি চালক মো.সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একাধিক নিরীহ পরিবার। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, খোদ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মো.শাহীন মিয়া সোহাগের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আপস-মীমাংসা করে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করে ছিল।

ভুক্তভোগী রবিউল হোসেন লিটন (৩৮) উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যার বাগ গ্রামের পুরতান ভ‚ঁইয়া বাড়ির মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একটি ক্রোকারিজ দোকানের সেলসম্যান। অপরদিকে, অভিযুক্ত মো.সোহাগ একই বাড়ির মো.নুরুল আমিনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো.শাহীন মিয়ার গাড়ি চালক।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একই বাড়ির লিটনদের সাথে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কার্যালয়ের গাড়ি চালক সোহাগদের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তার সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে সে কয়েকবার নিজেও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে লিটনদের মারধর করে। উপজেলা প্রশাসনে চাকরি করার সুবাধে সে লিটনদের পরিবার ও অন্যান্য পরিবারের সাথে ঘটনা সৃষ্টি করে অমানবিক অত্যাচার চালায়। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে সোনাইমুড়ী পৌরসভার কৌশল্যার বাগ গ্রামের মো.হানিফের স্ত্রী হাছিনা বেগম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৯। লিটন বাদী হয়ে মারধর,ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আদালতে ১৫০/২০২০ইং পিটিশন মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রæয়ারি সোহাগ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তুচ্ছ ঘটনায় তাদের গ্রামের লিটনের মা বৃদ্ধ আমেনা বেগমকে মারধর করে। এ নিয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি নন আফ আইয়ের মামলা দায়ের করা হয়।

জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নামজারি ও সরকারি সম্পত্তি দখলের জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন সোহাগ। এছাড়া মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো.সোহাগ বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রশাসন তদন্ত করে সত্যতা পেলে আমি যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধ মহিলাকে মারধর ও হুমকি-ধামকি প্রদর্শনের অভিযোগে সোহাগের বিরুদ্ধে বিচারের নিমিত্তে আদালতে প্রসিকিউশন রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, আমি পুলিশকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য কিছুই বলিনি। পুলিশ তদন্ত করে যে অপরাধী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

নোয়াখালীতে ভূমি কর্মকর্তার গাড়ি চালকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একাধিক পরিবার

আপডেট: ০৪:০১:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মো.শাহীন মিয়ার মাস্টার রুলের গাড়ি চালক মো.সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একাধিক নিরীহ পরিবার। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, খোদ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মো.শাহীন মিয়া সোহাগের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আপস-মীমাংসা করে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করে ছিল।

ভুক্তভোগী রবিউল হোসেন লিটন (৩৮) উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যার বাগ গ্রামের পুরতান ভ‚ঁইয়া বাড়ির মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একটি ক্রোকারিজ দোকানের সেলসম্যান। অপরদিকে, অভিযুক্ত মো.সোহাগ একই বাড়ির মো.নুরুল আমিনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো.শাহীন মিয়ার গাড়ি চালক।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একই বাড়ির লিটনদের সাথে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কার্যালয়ের গাড়ি চালক সোহাগদের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তার সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে সে কয়েকবার নিজেও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে লিটনদের মারধর করে। উপজেলা প্রশাসনে চাকরি করার সুবাধে সে লিটনদের পরিবার ও অন্যান্য পরিবারের সাথে ঘটনা সৃষ্টি করে অমানবিক অত্যাচার চালায়। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে সোনাইমুড়ী পৌরসভার কৌশল্যার বাগ গ্রামের মো.হানিফের স্ত্রী হাছিনা বেগম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৯। লিটন বাদী হয়ে মারধর,ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আদালতে ১৫০/২০২০ইং পিটিশন মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রæয়ারি সোহাগ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তুচ্ছ ঘটনায় তাদের গ্রামের লিটনের মা বৃদ্ধ আমেনা বেগমকে মারধর করে। এ নিয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি নন আফ আইয়ের মামলা দায়ের করা হয়।

জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নামজারি ও সরকারি সম্পত্তি দখলের জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন সোহাগ। এছাড়া মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো.সোহাগ বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রশাসন তদন্ত করে সত্যতা পেলে আমি যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধ মহিলাকে মারধর ও হুমকি-ধামকি প্রদর্শনের অভিযোগে সোহাগের বিরুদ্ধে বিচারের নিমিত্তে আদালতে প্রসিকিউশন রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, আমি পুলিশকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য কিছুই বলিনি। পুলিশ তদন্ত করে যে অপরাধী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।