স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবজলুল করিম গ্রামের হাতেম শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সাহায্য ট্রাষ্ট এর মালিকানাধীন কৃষি জমি নষ্ট করে অবাধে চলছে মাটি কেটে প্রজেক্ট ও মাটি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২/৩ একর ভূমির অবাধে মাটি কেটে প্রজেক্ট করে প্রতিপক্ষরা। এ বিষয়ে হাতেম শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সাহায্য ট্রাষ্ট এর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযুক্ত আবুল হোসেন, আবুল কাশেম সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ২০ এ মার্চ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমাদের চাচা হাতেম আলী বিগত ২৯/০৫/১৯৮৫ইং সনে চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্টার এর কার্যালয়ে ৯০১০ নং ট্রাষ্ট দলিল সম্পাদন করিয়া তফসিল সম্পত্তি হাতেম শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সাহায্য ট্রাষ্টকে উৎসর্গ করত এবং নিঃস্বত্ববান হন । জীবনদশায় তিনি নিজেই ট্রাষ্টের দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুর পর দলিলে শর্ত মোতাবেক আমরা ট্রাষ্টের সদস্যগন তাহা পরিচালনা করিয়া আসতেছি। আমি মাহফুজুর রহমান বর্তমানে ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
এদিকে, কিছু লোক তাহার মৃত্যুর পর দানপত্র মূলে মালিকানা দাবী করিয়া উক্ত ট্রাষ্টের সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা করছে। উক্ত বিষয়ে নোয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানী ১৩৩/২০১৮ইং নাম্বার মামলা চলমান রয়েছে। এবং মহামান্য হাইকোর্ট স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন এবং সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরজমিনে তদন্ত পূর্বক তফসিল ভূমি ট্রাষ্টের দখলে আছে মর্মে প্রতিবেদন দেন।
আদালত স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও চর জব্বর পুলিশ এখনোও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন হাতেম আলী ট্রাস্টের সদস্যরা। এদিকে কৃষি জমি নষ্ট করে অবাধে মাটি কাটার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন গংদের পাওয়া যায়নি।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল হক জানান কেউ কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি কাটলে বা প্রযেক্ট করলে এটা বড় অপরাধ। এদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিবেন।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি এবং থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নিদের্শ দিয়েছি। এতে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছে।
তবে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি জানেন না বলে জানান।