স্টাফ রিপোর্টার-
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অতি-উৎসাহী আচরণ ও জনগনের মাঝে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের কারণে সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) স্ব-শরীরে চাটখিল এসে ভোট গ্রহণ প্রত্যক্ষ করার আহব্বান জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেড.এম আজাদ খান।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সিইসি’কে তিনি এই আহব্বান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেড.এম আজাদ খান বলেন, তিনি নির্বাচনী কর্মকান্ড শুরু করার পর থেকে তার নির্বাচনী কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি এমনকি প্রাণ নাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নি কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিয় কর্মকর্তা ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি। দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান) জাহাঙ্গীর কবিরের পক্ষে থানার ওসি সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। যা তার কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে। ওসি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। যাহা সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশে বাধাঁ সৃষ্টি করবে বলে দাবি করেন তিনি। তাই অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের অপসারণের দাবি জানান এই প্রার্থী ।
জেড.এম আজাদ খান আরো বলেন, চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান দোয়াত কলমের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির। তাই ওই কলেজের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে নির্বাচনে তাদের মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে খিলপাড়া আবদুল ওহাব ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকগণও সরাসরি তার সমর্থনে রয়েছে। ফলে এই দুই কলেজের শিক্ষকদের কোনভাবেই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে রাখা যাবে না। যদি রাখা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ খানের কর্মী-সমর্থকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্টনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে ওসির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ওঠলে নির্বাচনের সময় তাকে প্রত্যাহার করা হবে।