স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুই তরুণকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় আমিশাপাড়া ইউনিয়নের নজরুল একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের শামছুল আলমের ছেলে রিমন (১৯) ও কপিল উদ্দিনের ছেলে সজিবুর রহমান (১৯)।
জানা যায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের নজরুল একাডেমি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান দায়িত্বরত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন। এ সময় একটি বুথের সামনে থেকে ৪০২ ও ৪০৭ ভোটার নম্বর টোকেনসহ দুই তরুণকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ম্যাজিস্ট্রেট। তারা জাল ভোট দিতে এসেছেন প্রমাণ হওয়ায় আটককৃত দুই যুবককে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত দুজন আনারস প্রতীকে ভোট দিতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
অভিযান পরিচালনাকারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্তরা অন্যের ভোটের স্লিপ নিয়ে ভোট দিতে আসেন। পরে আটকরা তাদের দোষ স্বীকার করায় দুইজনকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৩৩ জন এবং নারী ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৪ জন। এই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ প্রার্থীসহ ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।