স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল।
ফখরুল ইসলাম সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাগনে। এই নির্বাচনে তাঁদের ভাই শাহদাত হোসেন (টেলিফোন) চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী। তবে আবদুল কাদের মির্জা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক চেয়ারম্যান গোলাম শরীফ চৌধুরীর (আনারস) সমর্থনে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত-কলম) বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক পিএলসির বেগমগঞ্জ চৌমুহনী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ফখরুল ইসলাম। সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী গোলাম শরীফের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ সঠিক নয়। নির্বাচন এলে একটি মহল ষড়যন্ত্র মূলকভাবে তাঁকে হেয় করার উদ্দেশ্যে নানা অপপ্রচার চালায়। এটিও ওই অপপ্রচারের অংশ।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের দুই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন ব্যাংক কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম এবং তাঁর মামা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করলেও গোলাম শরীফ চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলে বিভিন্ন সভা ও উঠান বৈঠকে ঘোষণা দিয়েছেন আবদুল কাদের মির্জা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য আগামী ২৯ মে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন শাহদাত হোসেন (টেলিফোন), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান (দোয়াত-কলম), উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম শরীফ চৌধুরী (আনারস) ও ওমর আলী (মোটরসাইকেল)।