স্টাফ রির্পোটার-
মৃত স্বামীর সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে মা-মেয়ে সহ ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে। এই দিকে গত প্রায় ১মাস থেকে গুরুতর আহত নারী অজ্ঞান অবস্থায় নোয়াখালীর মাইজদীতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সাখে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর বৈশাখী গ্রামে ছালেহা বেগম এর বসত বাড়িতে। সন্ত্রাসীরা শুধু ছালেহা বেগম ও তার পরিবারের উপর হামলা ও কুপিয়ে খ্যান্ত হননি। তারা হামলা, ভাংচুর ও বসত ঘরটি সহ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ আবদুল আলিমের নের্তৃতে আজিজ, ইসমাইল, রুহুল আমিন, তানবির, বেলাল ও হেলাল সহ সন্ত্রাসী ভাড়াটিয়ারা।বর্তমানে তাদের ভয়ে এ অসহায় পরিবারটি আতঙ্কে রয়েছে। গত প্রায় ১মাস থেকে তারা বাড়ি ছাড়া হাসপাতালের বারান্দায় কাটছে তাদের জীবন। এই ঘটনায় তানিয়া বেগম বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় ছালেহা বেগম (৫০) সহ ৬জন আহত হয়েছেন। এদিকে ঘটনার সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত এই ছালেহা বেগম নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে প্রশাসনের নিরাপত্তা চেয়ে চরজব্বর থানায় ফের জিডি করেছে ভিকটিম তানিয়া। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরদিকে প্রতিপক্ষরা তাদেরকে হয়রানি করার জন্য চরজব্বর থানায় একটি পাল্টা মামলা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১/০৫/২০২৪ইং শুক্রবার বিকেলে। এ ঘটনায় চর জব্বর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভিকটিম তানিয়া বেগম জানান, মামলা করায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে গত ০৯/০৬/২০২৪ইং তারিখে চরজব্বর থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরী করেছি, যার নং- ৩৯৯। তারা আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করছে। আমরা অসহায় ভাবে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমি ঘটনাটি মাননীয় পুলিশ সুপার সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের স্বজনরা জানান, ভিক্টিম ছালেহা বেগম এর স্বামী হারুনুর রশিদ মৃত্যুর পর গত ১৫-১৬ বছর থেকে আবদুল আলীম, আজিজ, রুহুল আমিন সহ একটি চক্র আমাদের সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে হুমকি ধমকি ও মামলা হামলা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যম দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এর জের ধরে শুক্রবার বিকেলে আবদুল আলিম, আজিজ, ইসমাইল, তানবির, বেলাল ও হেলাল এর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী ভাড়াটে লোকজন নিয়ে অতর্কিত আমাদের বসত বাড়িতে এসে হামলা, ভাংচুর ও ঘর দরজা লুটপাট চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহিলা সহ ৬ জন কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে এবং মহিলাদের বেদম মারধর করে। পরে তারা তাদের সন্ত্রাসী কায়দায় বসতঘর লুটপাট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গুরুত্বর অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে এই অসহায় পরিবারটি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাউছার আলম ভূঁইয়া সত্যতা স্বীকার করে বলেন এই ঘটনার সাথে সাথে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি এবং মামলা নেওয়া হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।