১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিরহাটে এনজিওর ঋণের চাপে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর কবিরহাটে এনজিওর ঋণের চাপে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে, একই দিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রপুর গ্রামের মতি মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত নাসরিন আক্তার (৩১) একই গ্রামের মতি মিয়া বাড়ির ওমান প্রবাসী জহির উদ্দিনের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়াই বছর আগে জীবিকার তাগিদে নাসরিনের স্বামী বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ওমান যায়। কিছু দিন ধরে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে গৃহবধূ নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আজ সকালে এনজিও কর্মিরা পাওনা টাকার জন্য তার বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে বসত ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় এনজিও কর্মিরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

কবিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.আব্দুল বাতেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজকে তার ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। ঋণের চাপে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

কবিরহাটে এনজিওর ঋণের চাপে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট: ১২:০১:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর কবিরহাটে এনজিওর ঋণের চাপে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে, একই দিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রপুর গ্রামের মতি মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত নাসরিন আক্তার (৩১) একই গ্রামের মতি মিয়া বাড়ির ওমান প্রবাসী জহির উদ্দিনের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়াই বছর আগে জীবিকার তাগিদে নাসরিনের স্বামী বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ওমান যায়। কিছু দিন ধরে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে গৃহবধূ নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আজ সকালে এনজিও কর্মিরা পাওনা টাকার জন্য তার বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে বসত ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় এনজিও কর্মিরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

কবিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.আব্দুল বাতেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজকে তার ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। ঋণের চাপে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।