মোঃ নুর হোসাইন :
নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।কমছেনা পানি। ত্রাণের জন্য হাহাকার বন্যার্ত মানুষের মাঝে । এখনো তলিয়ে আছে পথ-ঘাট। ঘরবাড়িত পানি থাকায় এখনা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে অসংখ্য মানুষ। তবে খাবার সংকট রয়েছে।বিশেষ করে দুর্গম গ্রামীন এলাকা গুলো যেখানে নৌকা ছাড়া যাওয়া যায় না সেখান ত্রান সহায়তা পৌঁছাতে পারছেনা। এদিক সাগরে অতিরিক্ত জোয়ার থাকায় হাতিয়ার মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা ঘাসিয়ার চর, ঢাল চর, নিঝুম দ্বীপসহ প্রায় সবগুলা চর হাঁটু বা কোমর সমান পানিত তলিয়ে গেছে।
বাজার গুলোতে মিলছেনা শুকনো খাবার সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। মাইজদী. চৌমুহনী. সোনাপুর সহ বাজার গুলোতে শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য চিড়া মুড়ি গুড় সহ শুকনো খাবার গুলো গুদামে আটকে রেখে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলট ও ঔষধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়া ও পানি বাহিত রোগ প্রকট আকার ধারন করেছে। জেলার ১১৬৯ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৩৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া ডায়রিয়ায় ১৮৯ জন ও সাপের কামড়ে ৭১ জন সদর হাসপাতাল ভর্তি আছে।