আবুল বাসার (সুবর্নচর নোয়াখালী)
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের চর বাগ্যা, চর জিয়া উদ্দিন, সফি নগর গ্রামে দিয়ে বয়ে যাওয়া ভুলুয়া খালের পাশে নির্মিত বেঁড়ি বাঁধটি ঝুকি পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। প্রাকৃতিক দূর্যোগে বেঁড়ি বাঁধের অর্ধেক অংশ নদীতে ভেঙ্গে পড়ে যায়,স্থানীয়রা পড়ে যাওয়া গাছ দিয়ে ২ হাজার পরিবারকে বাঁচাতে ভেঙ্গে পড়া অংশে জঙ্গলা বাঁধ দেয়। এতে বন বিভাগ ভূমিহীনদের বিরুদ্ধে গাছ কাটার মামলা দেয় উক্ত মামলা প্রত্যাহরের দাবীতে মানববন্ধন করেছে শত শত ভূমিহীন পরিবার।
৩০ আগস্ট (শুক্রবার) বেলা ১২ টায় চর জুবিলী ইউনিয়নের চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের ভুলুয়া খালের ওপর ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন করে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চরজুবিলী ইউনিয়নের চর বাগ্যা, সফি নগর ও চরজিয়া উদ্দিনসহ ৪ টি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ভুলুয়া খাল টি। বিগত ২৫/৩০ বছর ধরে তারা প্রাকৃতিক দূর্যোগে কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন এলাকাবাসী। ২০/২২ বছর আগে ভুলুয়া খালের প্রথম বাঁধটি ভেঙ্গে যায় পরে নতুন বাঁধটি করা হয় এবং বাঁধের দুপাশে বন বিভাগ গাছ রোপন করেন। বিগত ১৫ বছর ধরে ধিরে ধিরে বাঁধটি ভাঙ্গতে শুরু করে । বাঁধের পাশে বসবাস করছেন ২ হাজার পরিবার, মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসাসহ একাধিক শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বর্তমানে বাঁধটি চলমান বন্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে সেটি আরো ভয়াবহ আঁকার ধারণ করে পরে নিরুউপায় হয়ে এলাকাবাসী পড়ে যাওয়া গাছ গুলো দিয়ে জঙ্গলা বাঁধ দিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন এবং নতুন ভাবে ফলজ, বনজ, কাঠ গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় আড়াই হাজার গাছ রোপন করে দেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি বন বিভাগ ভুমিহীন নেতাসহ একাধিক ভূমিহীনদের বিরুদ্ধে গাছ কাটার মামলা দেন। উক্ত মামলা প্রত্যাহার করে ভুলুয়া নদীতে নতুন ব্লক বাঁধ নির্মাণ করে হাজার হাজার পরিবারকে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেয়ার জন্য বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুছের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী নদী ভাঙ্গনে ক্ষতি গ্রস্ত পরিবার গুলো।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুমিহীন নেত্রী নাজমা বেগম, আসমা বেগম, ভূমিহীন নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, নুর আলম। মসজিদের খতিব আব্বাস উদ্দিন প্রমূখ।