ষ্টাফ রিপোর্টার
সোনাইমুড়ী উপজেলার ১নং জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর কোনাপাড়া গ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন গত সরকারের পনের বছরেও দৃশ্যমান হয়নি জানালেন এলাকাবাসী। ২নং জয়াগ ইউনিয়নের গ্রাম গুলোর মধ্যে আনন্দীপুর কোনাপাড়া, জুনুতপুর, আমকিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অভ্যন্তরে প্রায় ৭ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কটি এখনও জীর্ণদশা। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার হাজার হাজার পরিবার। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষ যাতায়েত করছে, আনন্দীপুর কোনাপাড়া এ সড়কটিতে। সড়কটির দু’পাশে খাল আর পুকুর থাকায়, পাড় ভেঙে সড়কটি খাল আর পুকুরে বিলীন হয়ে যায়। ৬টি গ্রামের লোকজনের চলাচল করার মাধ্যম এ পথটিই, বর্তমানে এদুর্যোগ বন্যায় অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীর সূত্রে জানা যায়, আনন্দীপুর কোনাপাড়া ৭নম্বর ওয়ার্ডের কোনা পাড়া সড়কটি দীর্ঘ ১২ বছরের ও বেশী সময় ধরে সংস্কার না করায় প্রায় ৭ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে সড়কের নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের কারনে সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় সড়কের প্রায়ই অংশ। সড়কের প্রায় একশো মিটার দূরত্বের অংশ পুকুরে বিলীন হলে হাঁটু ও মাজা পানিতে চলাচল করতে হয় লোকজনদের। এবারের ভয়াবহ বন্যায় যে কয়জন মানুষ এই এলাকার বাহিরে মারা গিয়েছে রাস্তার কারণে লাশ এলাকায় আনতে পারে নাই এবং মাটি দিতে পারে নাই নিজ এলাকায়। শিশু-কিশোরদের স্কুল-মাদরাসায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে এই এলাকার শিক্ষার্থীরা স্থানীয় আনন্দিপুর প্রাইমারি স্কুল, আনন্দীপুর তালিমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসা, আনন্দীপুর মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা, জুনদপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়, আমকি মহিলা আলিম মাদ্রাসা, জুনতপুর ইফতেদায়ী সুলতানিয়া মাদ্রাসার হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন এ সড়কটি দিয়ে যাতায়ত করে থাকে।
স্থানীয় জনগণ জানান, দীর্ঘ ১২/১৩ বছর ধরে আমরা গ্রামবাসী উপজেলা চেয়ারম্যান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর সহ জনপ্রতিনিধির কাছে বারবার ধর্ণা দিলেও বাজেট নাই বলে বছর কে বছর কালক্ষেপণ করেছেন, আবার টেন্ডারও যা ১০ বছর আগে একবার হয়েছিল সেটা মোটা অংকের টাকা ঘুষ না দেওয়ার কারনে রাস্তাটির টেন্ডার বাতিল করেছেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তারা, ফলে এভাবেই পড়ে আছে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি। এবারে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায়, লাখ টাকা ব্যায় করে এলাকাবাসীর উদ্যোগে রাস্তাটিতে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে, প্রায় কয়েক কিলোমিটার সড়কের উপর স্থাপিত হয় বাঁশের সাঁকো।