ষ্টাফ রিপোর্টার
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে ও ত্যাগের বিনিময়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার যাতে আবার মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এজন্য দলের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার স্বার্থে একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচার না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী সরকারের বহু গায়েবী ও মিথ্যা মামলায় এডভোকেট আবদুর রহমানকে আসামি করা হয়। তারপরও হাজার হাজার নেতাকর্মিকে মিথ্যা গায়েবী মামলা থেকে তিনি খালাসের ব্যবস্থা করেন। আইনজীবী সমিতি ও আইন পেশায় দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এতে নিজ দলের এবং অন্য দলের অনেক আইজীবী সদস্য তার জুনিয়র রয়েছেন। যারা অনেক আগে থেকে পৃথক চেম্বার নিয়ে স্বাধীনভাবে আইন পেশায় কাজ করছেন। আবদুর রহমান সিনিয়র আইজীবী হিসেবে অনেক জুনিয়র আইনজীবী তাদের মোহরারের মাধ্যমে তার স্টিকার ব্যবহার করে আইনজীবী সমিতি থেকে ওকালতনামা ক্রয় করে তাদের চেম্বারে রক্ষিত রাখে। তাৎক্ষণিক কোনো মোয়াক্কেল আসলে তারা তা ব্যবহার করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর হাতিয়া থানার মামলা নং-৭। গত ১৬ আগস্ট মামলার ৬নং ও ১৫নং ক্রমিকের আসামি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন প্রাপ্ত হয় তার স্টিকার নম্বরে খরিদকৃত একটি ওকালত নামা দিয়ে অনেক আইনজীবী স্বাক্ষর করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নোয়াখালীতে জামানত নামা দাখিল করে। যাহা আমার মোটেই জানা ছিলনা এবং ওই ওকালত নামায় কিংবা আসামির দরখাস্তের ওপর আমার কোনো স্বাক্ষর ছিলনা।
রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এডভোকেট আবদুর রহমানের কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্ধন্দী কতিপয় দুষ্ট প্রকৃতির লোক যারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে না থেকে আঁতাতের রাজনীতি করেছে। তাদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় সম্পূর্ণ বানোয়াট ভাবে কথিত আসামিদের পক্ষে ওকালতি করেছি বলে অপপ্রচার করছে। প্রকৃতপক্ষে কথিত ওকালত নামায় আমার কোনো স্বাক্ষর নেই। স্বাক্ষর করে ক্ষমতা প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কারো পক্ষে ওকালতি করতে পারেনা। যা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিধিতে উল্লেখ আছে।
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ