১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বউপিঠা-জামাইপিঠা সহ হরেকরকম বাহারি পিঠার ঘ্রাণে জমজমাট নোসকের পিঠা উৎসব

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:০৮:১০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৮৯৫

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকৃতিতে প্রায় শেষ হতে চললো শীতের তীব্রতা ।তাই শীতের শেষ সময়টাকে পিঠা উৎসবের মাধ্যমে উৎযাপন করলো নোয়াখালী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে পিঠা-পুলি। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নোয়াখালী সরকারি কলেজর ( নোসক) বাংলা বিভাগ কর্তৃক বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ) সকাল ১০ টায় নোয়াখালী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পিঠা উৎসব। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সারি সারি স্টলে এবং হরেক রকম পিঠা সাজিয়ে চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে। হৃদয় হরন, করলা পিঠা, বাহারি গোলাপ, বউপিঠা, জামাই পিঠা, ভাপা রোল পুলি, কদম পুলি ও চন্দ্র পুলি, চিংড়ি পিঠা , মুরালী , সতির মোচড় ,মুচমুচে মিষ্টি পিঠা, কালারফুল ক্ষীর, সেমাই সন্দেশ, ঝাল টুসি, নকশি পিঠা, চাকমা গুড় পিঠা, পোয়া পিঠা, পাকন পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটা, কেক এবং নোয়াখালীর বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহি চিতই পিঠাসহ বিভিন্ন নামের ও বিভিন্ন রংয়ের মুখরোচক পিঠা স্থান পায় স্টলগুলোতে। প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের ( নোসক) অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: জাকির হোসেন , উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো: ছানা উল্লাহ সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

এ সময় অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: জাকির হোসেন শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ” এমন আয়োজন আমাদের ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত রাখে। পিঠা উৎসব বাংলার শীতকালীন পিঠা-পুলির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রক্ষায় ও প্রসারে ভূমিকা পালন করবে।এই উৎসবের কারণে আমরা আমাদের গ্রামের সেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি। উৎসবমুখর আয়োজন শেষে সবাইকে একাডেমিক ক্লাসে মনোনিবেশ করার তাগিদ দেন তিনি। উক্ত পিঠা উৎসবে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও নোয়াখালী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।

পিঠা উৎসব উপভোগ করতে আসা শিক্ষার্থী অনন্যা বলেন, ” শীতের আমেজ শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে পিঠাপুলির এমন উৎসব ও এই বছরের জন্য শেষ হয়ে যাবে। শীতের শেষ সময়ে এমন উৎসবে আমরা মায়ের হাতের পিঠার ছোঁয়া পাবো। নগরায়নের ফলে আমাদের মায়েদের হাতের পিঠা আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে । আমাদের ক্যাম্পাসে প্রতিবছর পিঠা উসবের আয়োজন করা হলে নতুন প্রজন্ম দেশি পিঠার সাথে পরিচিত হতে পারবে। “

সর্বাধিক পঠিত

বউপিঠা-জামাইপিঠা সহ হরেকরকম বাহারি পিঠার ঘ্রাণে জমজমাট নোসকের পিঠা উৎসব

আপডেট: ০৭:০৮:১০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকৃতিতে প্রায় শেষ হতে চললো শীতের তীব্রতা ।তাই শীতের শেষ সময়টাকে পিঠা উৎসবের মাধ্যমে উৎযাপন করলো নোয়াখালী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে পিঠা-পুলি। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নোয়াখালী সরকারি কলেজর ( নোসক) বাংলা বিভাগ কর্তৃক বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ) সকাল ১০ টায় নোয়াখালী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পিঠা উৎসব। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সারি সারি স্টলে এবং হরেক রকম পিঠা সাজিয়ে চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে। হৃদয় হরন, করলা পিঠা, বাহারি গোলাপ, বউপিঠা, জামাই পিঠা, ভাপা রোল পুলি, কদম পুলি ও চন্দ্র পুলি, চিংড়ি পিঠা , মুরালী , সতির মোচড় ,মুচমুচে মিষ্টি পিঠা, কালারফুল ক্ষীর, সেমাই সন্দেশ, ঝাল টুসি, নকশি পিঠা, চাকমা গুড় পিঠা, পোয়া পিঠা, পাকন পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটা, কেক এবং নোয়াখালীর বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহি চিতই পিঠাসহ বিভিন্ন নামের ও বিভিন্ন রংয়ের মুখরোচক পিঠা স্থান পায় স্টলগুলোতে। প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের ( নোসক) অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: জাকির হোসেন , উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো: ছানা উল্লাহ সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

এ সময় অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: জাকির হোসেন শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ” এমন আয়োজন আমাদের ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত রাখে। পিঠা উৎসব বাংলার শীতকালীন পিঠা-পুলির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রক্ষায় ও প্রসারে ভূমিকা পালন করবে।এই উৎসবের কারণে আমরা আমাদের গ্রামের সেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি। উৎসবমুখর আয়োজন শেষে সবাইকে একাডেমিক ক্লাসে মনোনিবেশ করার তাগিদ দেন তিনি। উক্ত পিঠা উৎসবে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও নোয়াখালী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।

পিঠা উৎসব উপভোগ করতে আসা শিক্ষার্থী অনন্যা বলেন, ” শীতের আমেজ শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে পিঠাপুলির এমন উৎসব ও এই বছরের জন্য শেষ হয়ে যাবে। শীতের শেষ সময়ে এমন উৎসবে আমরা মায়ের হাতের পিঠার ছোঁয়া পাবো। নগরায়নের ফলে আমাদের মায়েদের হাতের পিঠা আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে । আমাদের ক্যাম্পাসে প্রতিবছর পিঠা উসবের আয়োজন করা হলে নতুন প্রজন্ম দেশি পিঠার সাথে পরিচিত হতে পারবে। “