
স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালী সরকারি কলেজের প্রধান ফটক সংলগ্ন সামনের সড়কের ড্রেন পরিস্কার না করায় জমে থাকা ময়লা পানিতে তৈরি হচ্ছে মশার আবাসস্থল। দেখলে মনে হবে এ যেন মশার খামার। এছাড়াও ড্রেন টি খুবই সরু। পৌরসভা ড্রেন টি পরিস্কারের ব্যবস্থা না করায় কলেজের উত্তর পাশে অবস্থিত পানির ট্যাংকি থেকে নির্গত পানিতে মাঝেমাঝেই কলেজের উত্তর গেট এলাকার সড়কে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। এতে ড্রেনের ময়লা পানি উঠে আসে সড়কে। বৃষ্টি নাই, বর্ষা নাই তবুও আকষ্মিক এমন জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর। এছাড়াও জলাবদ্ধতার সাথে কলেজের সামনের খানাখন্দ সড়ক সৃষ্টি করে নতুন দুর্ভোগের। এতে অনেক শিক্ষার্থীর জুতা ও জামা নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
এলাকাবাসীর ও শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, সড়কের পানির ট্যাংকির সামনের ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে ড্রেনের পানি উপসে এসে সড়কে জমে।
পানি জমে থাকা এই সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী ও পথচারী এ পথে চলাচল করে। কিন্তু বর্তমানে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এই ড্রেন দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করার কারণে ময়লা-আবর্জনা জমে এটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় পথচারী ওর সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, সড়ক দুর্ঘটনা সহ আরো নানান সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে ।
শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসন ও নোয়াখালী পৌরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেন পরিস্কার এবং নতুন করে প্রশস্ত ড্রেন নির্মান কলেজের সামনের সড়কটি সংস্কার করে শতশত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর দৈনন্দিন চলাচলের পথ টি উপযোগী করে তোলা হয়।
নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ড্রেন পরিস্কার না হওয়ায় এবং খানাখন্দ সড়কের কারণে আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সবার কষ্ট পোহাতে হয়। ড্রেন ক্লিন সহ এসব সমস্যা সমাধানের জন্য নোয়াখালী পৌরসভার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান আসবে।