১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন দিনে কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • ১৪০৮

ফাইল ছবি

তিন দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে। ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার খবরের পরেই দেশের বৃহৎ এই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাঁজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন দিন আগে ভারত থেকে আমদানি হওয়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজিদরে। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। একইসঙ্গে চীন থেকে আমদানি করা বড় জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। তখন আড়তে মজুদ থাকা পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন না তারা। যার প্রভাব পড়েছে বাজারের পেঁজাদের দরে।

খাতুনগঞ্জের মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের কর্ণধার রনি বিশ্বাস বলেন, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর ভারত থেকে আগের এলসি করা পেঁয়াজ আড়তে এসেছে। তবে সেটা চাহিদার তুলনায় কম ছিল। কিন্তু তখন দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল পর্যাপ্ত। এ ছাড়া সমুদ্রপথে পাকিস্তান ও চীন থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সেগুলোও বাজারে আছে। এখন পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ আড়তগুলোতে আছে। কিন্তু বিক্রি কমে গেছে।

খাতুনগঞ্জ দুলাল বাণিজ্যালয়ের মালিক দুলাল কান্তি বণিক বলেন, এখন আড়তে যেসব পণ্য আছে, সেগুলো বাড়তি দামে কেনা। নতুন করে ভারত থেকে পেঁয়াজ এলে আড়তে থাকা পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। সেই ভয়ে অনেক আড়তদার লোকসান দিয়ে হলেও পণ্যটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই পণ্যটির দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের দাম তেমন একটা কমছে না। তবে আমদানি করা পণ্যটির দাম কমছে। এ ছাড়া বাজারে ক্রেতার সংকট রয়েছে। অনেক খুচরা বিক্রেতা আগে যেখানে দুই-তিন টন পেঁয়াজ কিনতেন, এখন তাঁরা এক টনের বেশি কিনছেন না। এর ওপর ভারত সরকার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার খবর শুনছি। তাই ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে পণ্যটি ছেড়ে দিচ্ছেন।’

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

তিন দিনে কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম

আপডেট: ১১:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৪

ফাইল ছবি

তিন দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে। ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার খবরের পরেই দেশের বৃহৎ এই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাঁজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন দিন আগে ভারত থেকে আমদানি হওয়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজিদরে। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। একইসঙ্গে চীন থেকে আমদানি করা বড় জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। তখন আড়তে মজুদ থাকা পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন না তারা। যার প্রভাব পড়েছে বাজারের পেঁজাদের দরে।

খাতুনগঞ্জের মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের কর্ণধার রনি বিশ্বাস বলেন, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর ভারত থেকে আগের এলসি করা পেঁয়াজ আড়তে এসেছে। তবে সেটা চাহিদার তুলনায় কম ছিল। কিন্তু তখন দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল পর্যাপ্ত। এ ছাড়া সমুদ্রপথে পাকিস্তান ও চীন থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সেগুলোও বাজারে আছে। এখন পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ আড়তগুলোতে আছে। কিন্তু বিক্রি কমে গেছে।

খাতুনগঞ্জ দুলাল বাণিজ্যালয়ের মালিক দুলাল কান্তি বণিক বলেন, এখন আড়তে যেসব পণ্য আছে, সেগুলো বাড়তি দামে কেনা। নতুন করে ভারত থেকে পেঁয়াজ এলে আড়তে থাকা পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। সেই ভয়ে অনেক আড়তদার লোকসান দিয়ে হলেও পণ্যটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই পণ্যটির দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের দাম তেমন একটা কমছে না। তবে আমদানি করা পণ্যটির দাম কমছে। এ ছাড়া বাজারে ক্রেতার সংকট রয়েছে। অনেক খুচরা বিক্রেতা আগে যেখানে দুই-তিন টন পেঁয়াজ কিনতেন, এখন তাঁরা এক টনের বেশি কিনছেন না। এর ওপর ভারত সরকার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার খবর শুনছি। তাই ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে পণ্যটি ছেড়ে দিচ্ছেন।’