স্টাফ রির্পোটার–
নির্বাচনের পর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, সেনবাগ ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় সহিংসতা বেড়ে চলছে। এর আগে বেগমগঞ্জের পূর্ব একলাশপুর ও এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। নির্বাচনের পর এই দুই আসনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে নোয়াখালী-২ আসনের (সেনবাগ-সোনাইমুড়িআংশিক) সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের মৃত শহিদুজ্জামান প্রকাশ পলাশ (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলেন, আহছান উল্যা ওরপে কল্যা হাছান, আকবর হোসেন সোহেল, মোঃ মরিজ। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এর আগে তার বাড়ির পাশেই থেকে রক্তাক্ত নিহতের মাথা থেতলানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জা নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পলাশ ওই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে নোয়াখালী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের পরাজিত (আওয়ামীলীগ নেতা)স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক জানান, নিহত পলাশ তার এজেন্ট ছিলেন এবং তার পক্ষে কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় মির্জানগর কেন্দ্রে কাঁচির পক্ষে এজেন্টও ছিলেন।তার নির্বাচনের পর সোনাইমুড়ি সেনবাগের বিভিন্ন অসংখ্য নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে ও হামলার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা।
সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এর সার্বিক নির্দেশনায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নাটেশ্বর এলাকা হতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।তিনি আরও বলেন, আসামীদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, পূর্ব শত্রæতার জেরধরে পরস্পর জোগসাজসে গুলি করে হত্যা করেছে তারা। তিন আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং পুলিশ আসামীদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ