স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর’জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার দাবিতে আজ শুক্রবার সকালে একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এসএইচবিও এর আয়োজনে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক জলবায়ু ধর্মঘট।
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা জানিয়ে সেচ্ছাসেবী সংগঠন এসএইচবিও এই আয়োজন করে। এতে অংশগ্রহণ করে নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের শতাধিক শিক্ষার্থী ও তরুন-তরুনীরা। একই সাথে তরুণরা ফিলিস্তিন অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির দাবি জানিয়ে বলেন আমরা যুদ্ধ চাইনা শান্তি চাই। এই মুহূর্তে যে অমানবিক যুদ্ধ চলছে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিক এবং জীবন হারানো নারী ও শিশুদের জন্য গভীর সহানুভূতি ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ক্ষতিকারক কৃষিব্যবসায় করা বিনিয়োগ গুলোকে টেকসই প্রকল্প, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং পরিবেশ সম্মত এগ্রো ইকোলজির দিকে পুনঃনির্দেশিত করার জন্য সরকারি বিনিয়োগ ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলির কাছে দাবি জানিয়েছে।
এসময় তরুণরা সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাথে নিয়ে জলবায়ু সংকট নিরসন ও ন্যায়বিচার দাবিতে ফেস্টুন ও প-্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয়। তাদের প্ল্যাকার্ড গুলোতে প্রকাশ পায় পৃথিবীকে জলবায়ু সংকট থেকে বাঁচিয়ে তোলার আকুতি। প্লেকার্ডে তাদের প্রতিবাদের অক্ষরে লিখা দাবি জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ করো, ভবিষ্যতের জন্য জলবায়ু তহবিল বৃদ্ধি করো।
এসএইচবিওর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিদা সুলতানা জানান, জলবায়ু বিষয়ে জনগন ও নীতিনির্ধারকদের সুবিবেচনার জন্য স্ট্রাইকের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যত প্রজন্ম ও বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা বাঞ্চনীয়। যত তাড়াতাড়ি আমাদের বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ এই কাজ করবে তত তাড়াতাড়ি এ পৃথিবী সুরক্ষিত হবে।’
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এক্টিভিস্টা সোহান রহমান, সাইদুর রহমান রায়হান, শামসুল আলম ফারুক ও নাহিদা ইতু প্রমুখ। এক্টিভিস্টারা ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণকারী পশ্চিমা বিশ্ব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীকে অবিলম্বে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।