১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাতিয়ায় দেখা মিলল বিষধর ‘বেলিড সি স্নেক’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট: ০১:৩৫:২৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • ২১৮১

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেকের’ (বিষধর সাপ) দেখা মিলেছে।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখতে পান স্থানীয়রা।

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা তানিম ঘুরতে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে এ সাপটি প্রথম দেখতে পান। পরে বিরল প্রজাতির এই সাপ দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন। রাতে এই সাপের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তানিম বলেন, আমি সাপটি দেখে ভয় পেয়েছি। এমন সাপ কখনো দেখিনি। অনেকে ভিড় জমিয়েছিল সাপটি দেখার জন্য। সাপটির পেটের রঙ হলুদ এবং দেহের উপরিভাগ কালো। পরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারলাম এটি বিষধর সাপ।

হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকালই প্রথম হাতিয়ায় ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক দেখা গেছে। আমরা ধারণা করছি এটি জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। এটা বিশ্বের চতুর্থ বিষধর সাপ। আমাদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। আমরা বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেছি। হাতিয়ার জেলে ও নদী তীরবর্তী মানুষরা আতঙ্কিত। আমরা চাই যেন নিরাপদে পর্যটকরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল বলেন, গোটা বিশ্বের স্থল ও সমুদ্রভাগের সব সাপের মধ্যে ‘ইয়েলো-বেলিড সি’ সাপটি চতুর্থ বিষধর সাপ। সচরাচর এদের দেখা যায় না। গত বছরে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এই সাপ দেখা গিয়েছিল। এবার হাতিয়ায় এই সাপের দেখা মিলল। এদের মুখের গঠন এমন যেন তারা মাছ খেতে পারে। তবে এসব সাপ মানুষকে কামড় দেয় না।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত উপকূলের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে এ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। এরা বেশিরভাগ সময়েই অগভীর পানিতে থাকতে পছন্দ করে। দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে প্রায়শই এদের দেখা যায়। তাই দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গেলে সকলের সচেতন থাকা উচিত।

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, এই প্রজাতির সাপ বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায় না। এর নাম ‘ইয়েলো-বেলিড সি’। এরা হাইড্রোফিদা পরিবারভুক্ত। ভয়ঙ্কর বিষধর এই সাপের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে নেই। তাই সৈকতে এই ধরনের সাপ দেখলে লোকজনের সতর্ক হওয়া উচিত। এই সাপটি দেখলে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং চলে যেতে দিতে হবে।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

হাতিয়ায় দেখা মিলল বিষধর ‘বেলিড সি স্নেক’

আপডেট: ০১:৩৫:২৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেকের’ (বিষধর সাপ) দেখা মিলেছে।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখতে পান স্থানীয়রা।

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা তানিম ঘুরতে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে এ সাপটি প্রথম দেখতে পান। পরে বিরল প্রজাতির এই সাপ দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন। রাতে এই সাপের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তানিম বলেন, আমি সাপটি দেখে ভয় পেয়েছি। এমন সাপ কখনো দেখিনি। অনেকে ভিড় জমিয়েছিল সাপটি দেখার জন্য। সাপটির পেটের রঙ হলুদ এবং দেহের উপরিভাগ কালো। পরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারলাম এটি বিষধর সাপ।

হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকালই প্রথম হাতিয়ায় ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক দেখা গেছে। আমরা ধারণা করছি এটি জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। এটা বিশ্বের চতুর্থ বিষধর সাপ। আমাদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। আমরা বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেছি। হাতিয়ার জেলে ও নদী তীরবর্তী মানুষরা আতঙ্কিত। আমরা চাই যেন নিরাপদে পর্যটকরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল বলেন, গোটা বিশ্বের স্থল ও সমুদ্রভাগের সব সাপের মধ্যে ‘ইয়েলো-বেলিড সি’ সাপটি চতুর্থ বিষধর সাপ। সচরাচর এদের দেখা যায় না। গত বছরে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এই সাপ দেখা গিয়েছিল। এবার হাতিয়ায় এই সাপের দেখা মিলল। এদের মুখের গঠন এমন যেন তারা মাছ খেতে পারে। তবে এসব সাপ মানুষকে কামড় দেয় না।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত উপকূলের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে এ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। এরা বেশিরভাগ সময়েই অগভীর পানিতে থাকতে পছন্দ করে। দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে প্রায়শই এদের দেখা যায়। তাই দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গেলে সকলের সচেতন থাকা উচিত।

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, এই প্রজাতির সাপ বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায় না। এর নাম ‘ইয়েলো-বেলিড সি’। এরা হাইড্রোফিদা পরিবারভুক্ত। ভয়ঙ্কর বিষধর এই সাপের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে নেই। তাই সৈকতে এই ধরনের সাপ দেখলে লোকজনের সতর্ক হওয়া উচিত। এই সাপটি দেখলে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং চলে যেতে দিতে হবে।