আবুল বাসার-
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরআমান উল্যাহ ইউনিয়নে চর বজলুল করিম গ্রামে সকাল ১১টার দিকে মা-বাবাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে কলেজ ছাত্র অপু চন্দ্র দাস(১৭) হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার মাথায় দেশিয় অস্ত্রের আঘাত গুরুতর আহত হওয়ায় ২৪ ঘন্টায় ও তার জ্ঞান ফিরেনি।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) সকালে নিজ বাড়িতে এ ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হয় শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। এ ঘটনায় আহত ছাত্রের বাবা অমিত চন্দ্র দাস বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষনিক এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামী দুর্জয় মজুমদারকে (২২) গ্রেফতার করলেও ঘটনার মুল আসামী সমীর মজুমদার (৪৭) পলাতক রয়েছে।
আহতের পরিবার ও মামলা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সমীর এর বসতঘরের সামনে দিয়ে ধনিয়া পাতা তুলতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ঘটনারদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা অমিত এর বসত ঘরের সামনে উঠোনে এ দুর্র্ধষ হামলা চালায়। প্রথমে অমিতের স্ত্রীর উপর হামলা চালালে তাকে বাঁচাতে তার মেয়ে মিতা রানী দাস ছুটে আসলে তাকেও মারধর করে। মা ও মেয়ের চিৎকারে কলেজ পড়ুয়া ভাই অপু চন্দ্র দাসে এগিয়ে এলে মাথায় এলোপাতাড়ি রড দিয়ে আঘাত করলে তার চিৎকারে তার বাবা অমিত পুকুর ঘাট থেকে ছুটে আসলে তাকেও মারধর করে আসামীরা চলে যায়। যার ভিডিও চিত্র ধারন করেছে প্রতিবেশিরা।
এদিকে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারনে সে জ্ঞান হারিয়ে পেললে স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, পাশের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে নানারকম অসামাজিক কায্যক্রম চালিয়ে আসছে অভিযুক্ত আসামীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে প্রতিবেদকের সামনে নানা রকম অসামাজিক কর্মকান্ডের চিত্র চোখে পড়ে। এদের কর্মকান্ডে এলাকায় ছাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।এ বিষয়ে সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আইনি প্রদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন জানান, একজনকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এজাহার ভূক্ত আসামী দুজনের মধ্যে ১জনকে আটক করা হয়েছে।ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।