১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

  • আপডেট: ০৩:৪৬:০৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ১১৮৮

মোঃ নুর হোসাইন:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রæয়ারি) দুপুরের দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৮নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ওই আসামি রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, গতকাল বুধবার আদালতে ওই আসামির ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রধান আসামি বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে চরজব্বার থানায় নেওয়া হবে।

জানা যায়, আসামি মেহরাজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার ও মেহরাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, নির্যাতিত শিশু আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে গত সোমবার ৫ ফেব্রæয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে বসত ঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) মো. মেহরাজকে দিয়ে ঘরের সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী মো. হারুনকে (৪২) নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পুলিশ ঘটনার পর পরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট: ০৩:৪৬:০৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মোঃ নুর হোসাইন:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রæয়ারি) দুপুরের দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৮নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ওই আসামি রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, গতকাল বুধবার আদালতে ওই আসামির ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রধান আসামি বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে চরজব্বার থানায় নেওয়া হবে।

জানা যায়, আসামি মেহরাজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার ও মেহরাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, নির্যাতিত শিশু আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে গত সোমবার ৫ ফেব্রæয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে বসত ঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) মো. মেহরাজকে দিয়ে ঘরের সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী মো. হারুনকে (৪২) নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পুলিশ ঘটনার পর পরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।