স্টাফ রির্পোটার:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার উত্তর নাজিরপুর মেসার্স জে আর ব্রাদাসের এলপি গ্যাসের এজেন্টের ডিপো থেকে এলপি গ্যাসের রেগুলেটার বিহীন খালী সিলিন্ডার অসাধু চক্র, কালো বাজারে বিক্রির জন্য পাচারের সময় বিভিন্ন কোম্পানীর ৭’শ সিলিন্ডার সহ একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।
বুধবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তা-লক্ষীপুর সড়কের উত্তর নাজিরপুর কেরানীর দরজার নিকট ঐ ডিপো থেকে পাচারের খবর পেয়ে পুলিশ কাভার্ডভ্যান ভর্তি রেগুলেটারবিহীন সিলিন্ডার বেগমগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এলপি গ্যাসের বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে থানায় জব্দকৃত মালামাল গুলো গণনা করা হয়। এর আগে একই দিন আরও ৪টি কাভার্ড ভ্যান করে আরও ২ হাজার পাচার করা হয়েছে বলে কোম্পানীর লোকজন জানান। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ কাভার্ড ভ্যানে থাকা ৭’শ সিলিন্ডার ও ড্রাইভারকে থানা হেফাজতে রেখেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, বেগমগঞ্জের এই এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পরিবেশক বিভিন্ন স্থান থেকে পুরানো সিলিন্ডার ক্রয় করে তার থেকে রেগুলেটার (বাল্ব) বিছিন্ন করে এগুলো অন্যত্র পাচার করছে। মুলত এগুলো লোহা হিসেবে বিক্রি অথবা গলিয়ে ধ্বংশ করে, এটি রাষ্ট্রিয় সম্পদ নষ্ট করাই এ চক্রের কাজ।
এলপি গ্যাসের স্থানীয় এক প্রতিনিধি জানান যে কোন এলপি গ্যাসের রেগুলেটার বিহীন খালী সিলিন্ডার বিক্রয় বা হস্থান্তর করার সুযোগ নেই, এটি রাষ্ট্রিয় সম্পদ, একটি চক্র এগুলো ধ্বংশ করছে। চক্রের মূল হোতাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ সকল খালী বোতল কেন পাচার করা হচ্ছিলো জানতে চাইলে মেসার্স জে আর ব্রাদার্সের মালিক নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান তারা এই বোতলগুলো পুরানো হিসাবে বিক্রি করেছেন, এই খালী বোতল রেগুলেটার ছাড়া বিক্রয় করা বৈধ কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। একই বক্তব্য দেন অভিযুক্ত জেআর ব্রাদার্সের ম্যানেজার লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, এটা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমার জানা নেই।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান এটি রেগুলেটার ছাড়া অন্যত্র পাাচারের খবর পেয়ে তিনি কাভার্ডভ্যানসহ জব্দ করেছেন, এ বিষয়ে মামলা নেওয়া হবে এবং পরবর্তিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা-২৫, জি গ্যাস ৭৮টি, নাভানা ২টি, টিকে সুপার ২৭৪ ও নজির ৩টি সহ ৮টি কোম্পানীর প্রায় ৭’শ টি সিলিন্ডার জব্দ করেছে পুলিশ।