১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে এক গৃহবধূর বসত বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও জায়গা দখলের অভিযোগ, আহত গৃহবধু হাসপাতালে ভর্তি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট: ০২:৫৩:২১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ১৫৯৪

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামে জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গৃহবধুর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৪ফেব্রæয়ারি) দুপুরে আহতের বসত বাড়িতে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় এক গৃহবধূ বিবি হালিমা (৪০) কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে আহতদের স্বজনরা জানান, জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বাকের ও সুমনের নের্তৃত্বে ২০/২৫জন সকাল থেকে আমাদের বাড়িতে জোরপূর্বক দখল করে এবং গাছ কেটে নিয়ে ও ব্যবহারিক কল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমাদের মালিক ও দখলীয় ভূমিতে জোর পূর্বক টিনের ভেড়া দিয়ে দখল করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে বাধা দিলে তারা অতর্কিত এসে সে গৃহবধু হালিমাকে মারধর করে। এ সময় তার হাতে ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে। পরে তারা ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

আহত গৃহবধু ও তার পরিবার জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমরা জায়গা কিনে মালিক ও দখল থাকিয়া বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসতেছি। প্রতিবেশি বাকের জায়গা পাবে বলে দাবি করে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বৈঠক হলেও বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন। তারই অংশ হিসেবে বুধবার তারা পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীকায়দায় বাকের ও সুমনের নের্তৃত্বে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর ও জবর দখল করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার এসআই ত্রিদীব বড়–য়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সকাল থেকে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে বলে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত হালিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান অবগত আছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিষদে অনেকবার বৈঠক হয়েছে। এ নিয়ে ইউপি আদালতে মামলা হয়েছে। আমি তিনজন মেম্বারকে দিয়ে টিম করে জায়গা পরিমাপ করে দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছি। মেম্বারদের উপস্থিতিতে কোন হামলা হয়নি, তবে কেউ যদি ভাঙচুর করে এটা ঠিক হয়নি। কেউ ভাঙচুর করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

নোয়াখালীতে এক গৃহবধূর বসত বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও জায়গা দখলের অভিযোগ, আহত গৃহবধু হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট: ০২:৫৩:২১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামে জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গৃহবধুর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৪ফেব্রæয়ারি) দুপুরে আহতের বসত বাড়িতে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় এক গৃহবধূ বিবি হালিমা (৪০) কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে আহতদের স্বজনরা জানান, জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বাকের ও সুমনের নের্তৃত্বে ২০/২৫জন সকাল থেকে আমাদের বাড়িতে জোরপূর্বক দখল করে এবং গাছ কেটে নিয়ে ও ব্যবহারিক কল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমাদের মালিক ও দখলীয় ভূমিতে জোর পূর্বক টিনের ভেড়া দিয়ে দখল করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে বাধা দিলে তারা অতর্কিত এসে সে গৃহবধু হালিমাকে মারধর করে। এ সময় তার হাতে ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে। পরে তারা ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

আহত গৃহবধু ও তার পরিবার জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমরা জায়গা কিনে মালিক ও দখল থাকিয়া বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসতেছি। প্রতিবেশি বাকের জায়গা পাবে বলে দাবি করে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বৈঠক হলেও বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন। তারই অংশ হিসেবে বুধবার তারা পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীকায়দায় বাকের ও সুমনের নের্তৃত্বে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর ও জবর দখল করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার এসআই ত্রিদীব বড়–য়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সকাল থেকে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে বলে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত হালিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান অবগত আছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিষদে অনেকবার বৈঠক হয়েছে। এ নিয়ে ইউপি আদালতে মামলা হয়েছে। আমি তিনজন মেম্বারকে দিয়ে টিম করে জায়গা পরিমাপ করে দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছি। মেম্বারদের উপস্থিতিতে কোন হামলা হয়নি, তবে কেউ যদি ভাঙচুর করে এটা ঠিক হয়নি। কেউ ভাঙচুর করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।