১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, মারধরের অভিযোগ

  • আপডেট: ০৩:৫৫:৫৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ২০৪২

স্টাফ রির্পোটার-
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. তারেক রহমান ইমনের (২৪) ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।
এই হামলা ও মারধরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈমের অনুসারীদের বিরুদ্ধে দায়ী করছেন হামলার শিকার ওই শিক্ষার্থী।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী মো. তারেক রহমান ইমন নোয়াখালী সদর উপজেলার গোপাই গ্রামের কামাল উদ্দিন আনোয়ারের ছেলে।

হামলার শিকার শিক্ষার্থী তারেক রহমান ইমন অভিযোগ করে বলেন, জানুয়ারীর ২১ ও ২৩ তারিখে তাঁর সহপাঠি নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ তৈরী হয়। ওই বিরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে শাস্তির আওতায় আনেন। এতে ওখানেই বিরোধ মিমাংসা হয়ে যায়। পূর্বের ওই ঘটনার রেশ ধরে আজ (শনিবার) দুপুরে তিনি (তারেক রহমান ইমন) বিশ্ববিদ্যালয় গেলে সেখান থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নোবিপ্রবি শাখার সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈমসহ কয়েকজন তাঁর পথরোধ করেন। এসময় তিনি দূত রিকশা যোগে সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার দিকে চলে যান। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈমের নির্দেশে তাঁর অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা নুবান, রিশাদ, মুশফিক ও মাহাদি’সহ ১৪-১৫জন ইমনের পিছু নেয়। পরে ইমন সোনাপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে তাঁর পিছু নেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাঁকে একটি অটোরিকশায় তুলে অন্যত্ব নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে ইমনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত তারেক রহমান ইমনের অভিযোগ,বিশ্ববিদ্যালয়শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈমের নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈম বলেন, এটা পলিটিক্যাল ইস্যু নয়, এটা হচ্ছে তাদের ডিপাটমেন্টের ইস্যু। কিছুদিন আগে তাদের দু’গ্রুপের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজকে পুনরায় এই ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের নাম কেন আসবে?

নোবিপ্রবি ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজকের কোন ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

নোবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, মারধরের অভিযোগ

আপডেট: ০৩:৫৫:৫৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

স্টাফ রির্পোটার-
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. তারেক রহমান ইমনের (২৪) ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।
এই হামলা ও মারধরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈমের অনুসারীদের বিরুদ্ধে দায়ী করছেন হামলার শিকার ওই শিক্ষার্থী।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী মো. তারেক রহমান ইমন নোয়াখালী সদর উপজেলার গোপাই গ্রামের কামাল উদ্দিন আনোয়ারের ছেলে।

হামলার শিকার শিক্ষার্থী তারেক রহমান ইমন অভিযোগ করে বলেন, জানুয়ারীর ২১ ও ২৩ তারিখে তাঁর সহপাঠি নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ তৈরী হয়। ওই বিরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে শাস্তির আওতায় আনেন। এতে ওখানেই বিরোধ মিমাংসা হয়ে যায়। পূর্বের ওই ঘটনার রেশ ধরে আজ (শনিবার) দুপুরে তিনি (তারেক রহমান ইমন) বিশ্ববিদ্যালয় গেলে সেখান থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নোবিপ্রবি শাখার সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈমসহ কয়েকজন তাঁর পথরোধ করেন। এসময় তিনি দূত রিকশা যোগে সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার দিকে চলে যান। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈমের নির্দেশে তাঁর অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা নুবান, রিশাদ, মুশফিক ও মাহাদি’সহ ১৪-১৫জন ইমনের পিছু নেয়। পরে ইমন সোনাপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে তাঁর পিছু নেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাঁকে একটি অটোরিকশায় তুলে অন্যত্ব নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে ইমনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত তারেক রহমান ইমনের অভিযোগ,বিশ্ববিদ্যালয়শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈমের নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈম বলেন, এটা পলিটিক্যাল ইস্যু নয়, এটা হচ্ছে তাদের ডিপাটমেন্টের ইস্যু। কিছুদিন আগে তাদের দু’গ্রুপের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজকে পুনরায় এই ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের নাম কেন আসবে?

নোবিপ্রবি ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজকের কোন ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।