মোঃ নুর হোসাইন-
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানীতে পল্লীচিকিৎসক দম্পতির উপর সন্ত্রাসী হামলা ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় ভিকটিম পল্লীচিকিৎসক ও তার স্বামী আকবর হোসেনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাইজদীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় ঘটনায় অভিযুক্ত মোঃ শাকিল, আবদুল আউয়াল, বেলাল ও কামালসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছেন। ঘটনার তিনদিন পরেও বখাটে সন্ত্রাসী জোরদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৫মার্চ) রাতে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ভিকটিম ও তার স্বামী আকবর হোসেন জানান, একই এলাকার প্রবাসী কামালের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কামালের ইন্দনে শাকিল ও আউয়ালের নের্তৃত্বে ১০/১২ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী মোটর সাইকেল যোগে এসে গত মঙ্গলবার রাতে অতর্কিত ভাবে পল্লীচিকিৎসক আকবরের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাকে মারতে-মারতে ভাড়া বাসার সামনে নিয়ে গিয়ে পুনরায় হামলা ও মারধর করে।
তার আত্মচিৎকারে তার স্ত্রী ভিকটিমপল্লী চিকিৎসক ভাড়াবাসা থেকে বেরিয়ে এসে বাধা দিলে তাকেও বেদম মারধর করে এবং জামাকাপড় ছিড়ে টানা-হেচড়া করে ও তার শ্লীলতাহানি করে। এই সময় তার গলা থেকে একটি সোনার চেইন এবং তার স্বামীর পকেট থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এই সময় ভিকটিম আত্মচিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে এই পল্লীচিকিৎসক দম্পতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সন্ত্রাসীরা তাদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছয়ানীর ইউপি. সদস্য সাহাব উদ্দিন জানান, আগে তাদেরকে হুমকি-ধমকি ঘটনায় আমাকে জানিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় আমাকে জানানো হয়নি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।