১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে আ. লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় : যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

  • আপডেট: ০৮:১৯:১০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • ২১১৫

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ওমর ফারুক নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলাউদ্দিন আলোকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (১১ মার্চ) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের আমানউল্যাহ পুর ইউনিয়নের কোয়ারিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো. আলাউদ্দিন আলো ওই গ্রামের হাফেজ আব্দুল মান্নানের ছেলে।

র‌্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক এলাকায় সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। এ নিয়ে চন্দ্রগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর জিসান বাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে সন্ত্রাসী জিসান র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্দ্রগঞ্জ থানার নবনির্বাচিত ভবন উদ্বোধনের দিন ওমর ফারুক সন্ত্রাস বিরোধী বক্তব্য দেন। এতে জিসান বাহিনীর সদস্যরা তাকে টার্গেট করেন।

র‌্যাব সূত্রে আরও জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর সকালে ওমর ফারুক বাড়ির পাশে মোস্তফার দোকানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ওমর ফারুকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম হক্কানী মামলার তদন্ত শেষে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর নয় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার চারজন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায়ের সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না, তারা সবাই পলাতক ছিলেন।

র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন আলোকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। পরে তার অবস্থান নিশ্চিত করে সোমবার (১১ মার্চ) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ থানার আমানউল্যাহ পুর ইউনিয়নের কোয়ারিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আসামিরা বিএনপির সমর্থক ছিলেন। তাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীর রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। তাই তাকে আসামিরা হত্যা করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি আলাউদ্দিন আলোকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার বেগমগঞ্জ থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। আজ বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

নোয়াখালীতে আ. লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় : যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট: ০৮:১৯:১০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ওমর ফারুক নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলাউদ্দিন আলোকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (১১ মার্চ) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের আমানউল্যাহ পুর ইউনিয়নের কোয়ারিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো. আলাউদ্দিন আলো ওই গ্রামের হাফেজ আব্দুল মান্নানের ছেলে।

র‌্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক এলাকায় সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। এ নিয়ে চন্দ্রগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর জিসান বাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে সন্ত্রাসী জিসান র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্দ্রগঞ্জ থানার নবনির্বাচিত ভবন উদ্বোধনের দিন ওমর ফারুক সন্ত্রাস বিরোধী বক্তব্য দেন। এতে জিসান বাহিনীর সদস্যরা তাকে টার্গেট করেন।

র‌্যাব সূত্রে আরও জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর সকালে ওমর ফারুক বাড়ির পাশে মোস্তফার দোকানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ওমর ফারুকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম হক্কানী মামলার তদন্ত শেষে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর নয় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার চারজন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায়ের সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না, তারা সবাই পলাতক ছিলেন।

র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন আলোকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। পরে তার অবস্থান নিশ্চিত করে সোমবার (১১ মার্চ) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ থানার আমানউল্যাহ পুর ইউনিয়নের কোয়ারিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আসামিরা বিএনপির সমর্থক ছিলেন। তাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীর রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। তাই তাকে আসামিরা হত্যা করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি আলাউদ্দিন আলোকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার বেগমগঞ্জ থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। আজ বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।