১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোক্তা অধিকারের অভিযান,পালাল তরমুজ ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালী জেলা শহর রমজানে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে পৌর বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় অভিযানের খবরে পালিয়ে যায় বাজারের বেশির ভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাইজদী পৌর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।

অভিযানকালে মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা আপডেট না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে ফল বিক্রি করার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন, জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা শওকত আলী ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও রমজানে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে মাইজদী পৌর বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এসময় মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা হালনাগাদ না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে আপেল, কমলা, খেজুর, আঙ্গুর বিক্রি করার অপরাধে বাহার ফল বিতানকে তিন হাজার, ইসমাইল ফল বিতানকে দুই হাজার ও পূর্ণিমা এন্টারপ্রাইজকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

কিছু দোকানে অনিয়মের কারণে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে এমন খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের বেশিরভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী তাদের দোকান রেখে পালিয়ে যান। ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত সেই দোকানগুলোতে গিয়ে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনে মালিককে না পেয়ে ফিরে যান।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি যারা আড়ৎদার এবং পাইকার রয়েছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো দরকার। কম দামে ক্রয় করতে পারলে কম দামে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারবেন। বড় বড় সিন্ডেকেট না ভেঙে লোক দেখানো এ অভিযান করে বাজারে স্বস্তি ফেরানো সম্ভব না বলেও মনে করছেন অনেকে।

মাইজদী পৌর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, অনেকদিন পর অভিযান হওয়ার কারণে ভয়ে ফল ব্যবসায়ীরা দোকান রেখে পালিয়ে গেছেন। তারা যেন আগামীতে এমন কাজ না করেন সে বিষয়ে বুঝানো হবে। সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আমাদের সমিতি থেকে অনুরোধ করা হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অভিযানকালে তিনজন ফল বিক্রেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের অর্থদণ্ড করা হয়েছে। একইসঙ্গে অন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আগামীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

ভোক্তা অধিকারের অভিযান,পালাল তরমুজ ব্যবসায়ীরা

আপডেট: ১০:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালী জেলা শহর রমজানে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে পৌর বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় অভিযানের খবরে পালিয়ে যায় বাজারের বেশির ভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাইজদী পৌর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।

অভিযানকালে মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা আপডেট না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে ফল বিক্রি করার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন, জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা শওকত আলী ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও রমজানে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে মাইজদী পৌর বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এসময় মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা হালনাগাদ না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে আপেল, কমলা, খেজুর, আঙ্গুর বিক্রি করার অপরাধে বাহার ফল বিতানকে তিন হাজার, ইসমাইল ফল বিতানকে দুই হাজার ও পূর্ণিমা এন্টারপ্রাইজকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

কিছু দোকানে অনিয়মের কারণে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে এমন খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের বেশিরভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী তাদের দোকান রেখে পালিয়ে যান। ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত সেই দোকানগুলোতে গিয়ে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনে মালিককে না পেয়ে ফিরে যান।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি যারা আড়ৎদার এবং পাইকার রয়েছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো দরকার। কম দামে ক্রয় করতে পারলে কম দামে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারবেন। বড় বড় সিন্ডেকেট না ভেঙে লোক দেখানো এ অভিযান করে বাজারে স্বস্তি ফেরানো সম্ভব না বলেও মনে করছেন অনেকে।

মাইজদী পৌর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, অনেকদিন পর অভিযান হওয়ার কারণে ভয়ে ফল ব্যবসায়ীরা দোকান রেখে পালিয়ে গেছেন। তারা যেন আগামীতে এমন কাজ না করেন সে বিষয়ে বুঝানো হবে। সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আমাদের সমিতি থেকে অনুরোধ করা হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অভিযানকালে তিনজন ফল বিক্রেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের অর্থদণ্ড করা হয়েছে। একইসঙ্গে অন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আগামীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।