স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর সুধারামের সূর্য নারায়ণপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজনের সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে পূর্ব শত্রæতা ও বিরোধের জের ধরে এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩শে মার্চ গভীর রাতে জেলার ডিবি পুলিশ ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি গরু ব্যবসায়ী শহীদকে ধরতে সূর্য নারায়ণপুর গ্রামে তার বাড়ীতে হানাদেন। এই সময় ডিবির ওসি কবির হোসেন এর নেতৃত্বে একদল ডিবি পুলিশ তাকে না পেয়ে বাড়ী থেকে চলে যান। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ যাওয়ার পরপরই পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হারুনের নেতৃত্বে একদল যুবক শহীদের ঘরে ঢুকে জিনিস পত্র ভাংচুর করে ও মালামাল তছনছ করে এবং স্বর্ণঅলংকার সহ জিনিস পত্র লুটপাট করে বলে অভিযোগ করেন শহীদের পরিবার সদস্যরা।
এদিকে শহীদের ভাই সোলেমান ও বাবুল সহ পরিবার আরো অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ফয়সল বারীর সাথে বাজারের দোকানের ভিটিকে কেন্দ্র করে শহীদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে শহীদকে নানান ভাবে হয়রানি করার জন্য চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে হয়রানি করছে।
চর মটুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শহীদ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সে আমার পক্ষে নির্বাচন করেছে। একসময় শহীদ ফয়সল বারীর লোক ছিল, তার সাথে দ›দ্ব হওয়ায় সে সরে গেছে। এছাড়া চেয়ারম্যান একজন বিএনপি সমর্থিত।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, শহীদ দীর্ঘদিন থেকে গরুর ব্যবসার সাথে জড়িত। পূর্ব শত্রæতার জেরধরে তাকে হয়রানি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চর মটুয়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ফয়সল বারী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার কোন লোক তার (শহীদের) বাড়িতে যাইনি, সে একজন খারাপ লোক এবং বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। পুলিশ আসামী ধরতে গেছে আমার লোক কেন যাবে। জানাযায়, দীর্ঘদিন থেকে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান এর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
জেলা ডিবির ওসি কবির হোসেন জানান,শহীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট ছিল। আমাদের অবস্থান টের পেয়ে সে পালিয়ে গেছে। পরে আমরা সন্দেহ জনক একজনকে ঘুরাফেরা করতে দেখে আটক করেছি এবং তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠিয়েছি, বর্তমান সে জামিনে আছে। এছাড়া একটি মটরসাইকেল ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। কাগজপত্র সঠিক থাকলে দিয়ে দিব।