১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুরুপের সংঘর্ষে আহত ৬

স্টাফ রিপোর্টার-
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ছয় জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নোয়াখালী সরকারি কলেজের পুরান ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম, একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানিসহ প্রায় ছয় নেতাকর্মী আহত হন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের হলরুমে আমাদের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পূর্বনির্ধারিত মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল। সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভার্চুয়ালি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি ও ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিয়েছি। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল ও একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানির নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত যুবক এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আমাদের মতবিনিময় সভা স্থগিত করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মাইজদীতে একটি কর্মসূচি ছিল। অন্যদিকে রাত ৮টায় কলেজ ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল। বিকালে কলেজের ছাত্রাবাস থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে বের হতে না পারে সেজন্য কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকে তালা দেয়। খবর পেয়ে আমাদের জুনিয়র ব্যাচ সেখানে গেলে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানিসহ পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।

কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের হোস্টেল সুপার ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার রাত ৯টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবায়য়াত রহমান আরফাত জানান শুক্রবারের ঘটনা তদন্ত করে যারা অন্যায় আচরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহিন বিল্লাহ বলেন, ‘ঘটনা জানা মাত্রই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

নোয়াখালী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুরুপের সংঘর্ষে আহত ৬

আপডেট: ১২:৫৯:০৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার-
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ছয় জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নোয়াখালী সরকারি কলেজের পুরান ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম, একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানিসহ প্রায় ছয় নেতাকর্মী আহত হন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের হলরুমে আমাদের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পূর্বনির্ধারিত মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল। সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভার্চুয়ালি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি ও ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিয়েছি। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল ও একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানির নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত যুবক এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আমাদের মতবিনিময় সভা স্থগিত করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মাইজদীতে একটি কর্মসূচি ছিল। অন্যদিকে রাত ৮টায় কলেজ ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল। বিকালে কলেজের ছাত্রাবাস থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে বের হতে না পারে সেজন্য কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকে তালা দেয়। খবর পেয়ে আমাদের জুনিয়র ব্যাচ সেখানে গেলে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানিসহ পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।

কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের হোস্টেল সুপার ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার রাত ৯টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবায়য়াত রহমান আরফাত জানান শুক্রবারের ঘটনা তদন্ত করে যারা অন্যায় আচরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহিন বিল্লাহ বলেন, ‘ঘটনা জানা মাত্রই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’