১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেনারে দায়ে দোকানেই ফাঁস দিল ব্যবসায়ী

স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দেনার দায়ে এক ব্যবসায়ী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত সাইফুল ইসলাম (২৮) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের হাকিমপুর গ্রামের তুফানি হাজী বাড়ির মৃত আব্দুল খোকনের ছেলে।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের বৌ বাজারের তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মনোয়ারা ফার্মেসি থেকে পুলিশ এই মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, একই দিন বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের মামা জিল্লুর রহিম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে সাইফুল বাড়ি থেকে দোকানে যায়। দুই মাস আগে তাকে বিয়ে করানো হয়। সে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক টাকা দেনা হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে পাওনাদাররা টাকা পরিশোধের জন্য তাকে চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিজ দোকানের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। দুপুরে বাড়িতে ভাত খাওয়ার জন্য না গেলে পরিবারের সদস্যরা বাজারে গিয়ে তাকে খোঁজ করে। একপর্যায়ে দোকানের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে তাদের শৌরচিৎকার শুনে স্থানী লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

দেনারে দায়ে দোকানেই ফাঁস দিল ব্যবসায়ী

আপডেট: ০৫:০৯:০০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দেনার দায়ে এক ব্যবসায়ী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত সাইফুল ইসলাম (২৮) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের হাকিমপুর গ্রামের তুফানি হাজী বাড়ির মৃত আব্দুল খোকনের ছেলে।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের বৌ বাজারের তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মনোয়ারা ফার্মেসি থেকে পুলিশ এই মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, একই দিন বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের মামা জিল্লুর রহিম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে সাইফুল বাড়ি থেকে দোকানে যায়। দুই মাস আগে তাকে বিয়ে করানো হয়। সে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক টাকা দেনা হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে পাওনাদাররা টাকা পরিশোধের জন্য তাকে চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিজ দোকানের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। দুপুরে বাড়িতে ভাত খাওয়ার জন্য না গেলে পরিবারের সদস্যরা বাজারে গিয়ে তাকে খোঁজ করে। একপর্যায়ে দোকানের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে তাদের শৌরচিৎকার শুনে স্থানী লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।