সহিদুল ইসলাম ( সোনাইমুড়ী )
আমরা মরিনি বেঁচে আছি, তবে ৪ আগস্ট নোয়াখালীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য হিসেবে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সোনাইমুড়ীর নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে বজরা বাজারে আমাদের ৩ ছাত্রীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে স্ব শরীরে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে উপজেলার চাষির হাট ইউনিয়নের শাহারপাড় গ্রামের সামছুদ্দোহার মেয়ে নুসরাত জাহান ও নদনা ইউনিয়নের পাপুয়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে বিবি মরিয়ম এসব কথা বলেন।
তারা দুজন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য ও নোয়াখালী সরকারি কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৪ আগস্ট বজরা বাজারের হামলার ঘটনায় এক ছাত্রীকে পিটিয়ে খুন করেছে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন ফেইসবুক পেজে কয়েকজনের ছবি প্রকাশ করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বজরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলার বজরা গ্রামের এ এইচ এম আবেদ হোসেনের ছেলে এ এইচ এম শাহাদাত হোসেন জনি তার নিজ বাড়ীতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জনি বলেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্রীদের উপর হামলার ঘটনায় আমি ও আমার পরিবারের কেউ জড়িত নয়। এ ঘটানাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার ও আমার পরিবারের ছবি ব্যাবহার করে এই বলে প্রচার করে যে, আমরা সবাই মিলে ছাত্রীদের ওপর হামলা করে একজন ছাত্রীকে খুন করেছি। যাহা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ঘটনার খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উক্ত ছাত্রীদের বাড়ীতে গিয়ে নিহতের খবর মিথ্যা বলে জানিয়েছেন এবং তাদের সাথে জীবিত অবস্থায় কথা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উক্ত ছাত্রীরা সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বলেন আমরা কেউ মরেনি তবে আহত হয়েছি। জনির পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখালে তারা বলেন এদের কাউকে আমরা চিনিনা। তবে ইয়াছিন নামের একজসহ ৪ জন যুবক আমাদেরকে বাড়ীতে পৌঁছে দিয়েছেন।
জনি আরোও বলেন আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছাত্রী খুনের অভিযোগ এনে গুজব ছড়িয়ে একটি কুচক্রী মহল আমাদেরকে দেশবাসী ও সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন এবং মানহানি করেছে তাদের বিষয় সঠিক সংবাদটি পরিবেশন করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি। পাশাপাশি অপপ্রচারকারী ও ছাত্রীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।