মোঃ নুর হোসাইন :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গুলিবিদ্ধ মো. আসিফ (২৬) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর গ্রামের মীর আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬ টায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর নুরুল উলুম ইসলামী আরাবিয়া কওমী মাদ্রাসার মাঠ প্রাঙ্গণে আসিফের জানাযা সম্পন্ন হয়। জানাযায় পরিবার, আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী, স্থানীয় শিক্ষার্থী এবং জেলা সমন্বয়করা অংশগ্রহণ করেন। জানাযা পুর্ব বক্তব্যে জেলা সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের শহীদদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ছাত্র-জনতার অনেক রক্ত আর জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। এসময় তিনি আল্লাহর কাছে আসিফ সহ সকল শহীদদের শাহাদাতকে কবুল করার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসিফ মারা যান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আসিফসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত আসিফকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান। শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ৫ আগস্ট থানায় হামলা ও হতাহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। সে মামলায় আসিফকে আহত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।