ষ্টাফ রিপোর্টার
টানা ভারী বর্ষণে ফের ডুবছে নোয়াখালী। জলাবদ্ধতায় এরই মধ্যে আটকা পড়েছেন অন্তত প্রায় ১২ লাখ মানুষ। ডুবে গেছে সড়ক ও বিভিন্ন অফিস ভবন। বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জেলার বাসিন্দাদের।
রবিবার (৬ অক্টোবর) জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় জেলা ডিসি অফিস, এসপি অফিস, গণপুর্ত ভবন সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পানিতে নিমজ্জিত। শহরের প্রায় সব শাখা রোড এক থেকে দুই ফুট পানির নিচে। এছাড়াও নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, নিম্নাঞ্চলগুলো ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে আছে বসতঘর ও সড়ক। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ তেমন একটা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হয়েছেন রিকশাচালক, শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
জেলা প্রশাসকের তথ্য মতে, নোয়াখালীর আট উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ মানুষ এই মুহূর্তে পানিবন্দি হয়ে আছেন। ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ২৫ জন সদর উপজেলার বাসিন্দা রিক্সাচালক জসিম মিয়া বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে আবার বেড়েছে। গত মাসেও এমন অবস্থা হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন কেউ খবর নেবে না, সহযোগিতাও করবে না।
আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও মাঝারি বা ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি আমরা জেনেছি। পানিবন্দি কোনো মানুষ যাতে খাদ্যাভাবে কষ্ট না পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পানি নিষ্কাশনে একাধিক কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করি নতুন করে আর বৃষ্টিপাত না হলে দ্রুতই পানি কমে যাবে।
এদিকে নোয়াখালী পৌরসভা পানি নিষ্কাশনের পথে যে সমস্ত অবৈধ দোকানপাট তোলা হয়েছে, তা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য মাইকিং করছে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল দত্ত জলাবদ্ধতার কারণে ইসলামিয়া-সুজাপুর খালে বাঁধ অপসারণ করার জন্য কয়েকটি জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেন।