২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী কলেজের সামনে পৌরসভার ময়লার স্তুপ- স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা 

মোঃ নুর হোসাইন :
প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় নোয়াখালীর সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী সরকারি কলেজ। কিন্তু কলেজে যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়কের পাশে কলেজের সামনে পৌরসভার ময়লার স্তুপে নাজেহাল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা৷
 নোয়াখালী পৌরসভার নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় ০২ নং ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুরে অবস্থিত নোয়াখালী সরকারি কলেজের মসজিদ ও ছাত্রী হোস্টেলের মধ্যবর্তী রাস্তার অপর পাশে বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটের নানা ধরনের ময়লা আবর্জনার ভাগাড় তৈরি হয়েছে। রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধ ক্যাম্পাস এলাকার পরিবেশকে দুষিত করছে। মশা-মাছির ভনভন আর দুর্বিষহ দুর্গন্ধে নাকাল অবস্থা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। কলেজ মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লী এবং ছাত্রী হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকরা মনে করছেন ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ পরিবেশকে যেভাবে দুষিত করে তেমনিভবে দুর্গন্ধ মানুষের নাক দিয়ে প্রবেশ করে পাকস্থলীতে গিয়ে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
 কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন কলেজে আসতে হয়। কলেজে প্রবেশ করার সময় এ ময়লার স্তুপের দুর্গন্ধে পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়। কোনমতে নাকে কাপড় চেপে ধরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হয়। কলেজের সামনের রাস্তা থেকে ময়লার স্তুপ টি সরিয়ে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হোক এটাই আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি।
 কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেন বলেন, এ ময়লার স্তুপ টি কলেজের পরিবেশ নষ্ট করতেছে এবং আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছেন। ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে উচ্ছেদ করে অন্য জনবসতিহীন এলাকায় স্থানান্তর করার জন্য পৌরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পৌরসভা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। আমরা আবার যোগাযোগ করবো পৌরসভার সাথে।
 নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল দত্ত বলেন, কেউ ময়লা পালানোর জন্য জায়গা দিতে চাই না। তাই বাধ্য হয়ে এখানে ময়লার ফেলবার জায়গা করা হয়৷ কিন্তু আমরা প্রায় সময় ময়লাগুলো নিয়ে আসি, তারপরেও লোকবল সংকট ও লজিস্টিক সাপোর্টের কারনে মাঝেমাঝে আনা হয়না। আমরা চেষ্টা করবো প্রতিদিনের ময়লা প্রতিদিন নিয়ে আসতে। আর কলেজ প্রশাসন ও স্থানীয়রা ময়লা ফেলবার জন্য উপযুক্ত একটি স্থান খুঁজে দিতে পারলে আমরা সেখানে স্থানান্তর করে নিবো।
সর্বাধিক পঠিত

সংবিধান দিয়েই ফ্যাস্টিট হাসিনা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে:ইসহাক খন্দকার

নোয়াখালী কলেজের সামনে পৌরসভার ময়লার স্তুপ- স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা 

আপডেট: ১২:১৬:৪০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
মোঃ নুর হোসাইন :
প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় নোয়াখালীর সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী সরকারি কলেজ। কিন্তু কলেজে যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়কের পাশে কলেজের সামনে পৌরসভার ময়লার স্তুপে নাজেহাল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা৷
 নোয়াখালী পৌরসভার নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় ০২ নং ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুরে অবস্থিত নোয়াখালী সরকারি কলেজের মসজিদ ও ছাত্রী হোস্টেলের মধ্যবর্তী রাস্তার অপর পাশে বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটের নানা ধরনের ময়লা আবর্জনার ভাগাড় তৈরি হয়েছে। রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধ ক্যাম্পাস এলাকার পরিবেশকে দুষিত করছে। মশা-মাছির ভনভন আর দুর্বিষহ দুর্গন্ধে নাকাল অবস্থা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। কলেজ মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লী এবং ছাত্রী হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকরা মনে করছেন ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ পরিবেশকে যেভাবে দুষিত করে তেমনিভবে দুর্গন্ধ মানুষের নাক দিয়ে প্রবেশ করে পাকস্থলীতে গিয়ে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
 কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন কলেজে আসতে হয়। কলেজে প্রবেশ করার সময় এ ময়লার স্তুপের দুর্গন্ধে পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়। কোনমতে নাকে কাপড় চেপে ধরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হয়। কলেজের সামনের রাস্তা থেকে ময়লার স্তুপ টি সরিয়ে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হোক এটাই আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি।
 কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেন বলেন, এ ময়লার স্তুপ টি কলেজের পরিবেশ নষ্ট করতেছে এবং আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছেন। ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে উচ্ছেদ করে অন্য জনবসতিহীন এলাকায় স্থানান্তর করার জন্য পৌরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পৌরসভা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। আমরা আবার যোগাযোগ করবো পৌরসভার সাথে।
 নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল দত্ত বলেন, কেউ ময়লা পালানোর জন্য জায়গা দিতে চাই না। তাই বাধ্য হয়ে এখানে ময়লার ফেলবার জায়গা করা হয়৷ কিন্তু আমরা প্রায় সময় ময়লাগুলো নিয়ে আসি, তারপরেও লোকবল সংকট ও লজিস্টিক সাপোর্টের কারনে মাঝেমাঝে আনা হয়না। আমরা চেষ্টা করবো প্রতিদিনের ময়লা প্রতিদিন নিয়ে আসতে। আর কলেজ প্রশাসন ও স্থানীয়রা ময়লা ফেলবার জন্য উপযুক্ত একটি স্থান খুঁজে দিতে পারলে আমরা সেখানে স্থানান্তর করে নিবো।