৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে পাখি শিকারীর কাছ থেকে বিক্রির জন্য আটকে রাখা ৫৪ পাখি ডানা মেলল মুক্ত আকাশে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:১৬:৫৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৮৫৭

মো: নুর হোসাইন:
নোয়াখালীতে বিক্রির জন্য আটকে রাখা খাঁচাবন্দি ৫৪টি শালিক-টিয়া-ঘুঘু পাখি জব্দ করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে মাইজদী বাজারে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় পাখি শিকারীরা বিক্রির জন্য আটকে রাখা খাঁচাবন্দি ৫৪টি শালিক-টিয়া-ঘুঘু পাখি জব্দ করে উপকূলীয় বন বিভাগ। পাখিগুলো খাঁচাবন্দি থাকায় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর উপকূলীয় বন বিভাগের পরিচর্যা ও খাদ্য সরবরাহের পর সুস্থ হলে পাখিগুলো বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরের সামনে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়। এক শ্রেণীর পাখি শিকারীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে সুবর্ণচর ও সদর উপজেলায় ফাঁদ পেতে অহরহ পাখি শিকার করে চলছে। তাদের হাত থেকে সুদুর সাইবেরিয়া থেকে আগত পাখিগুলোও রেহাই পাচ্ছেনা। এব্যাপারে বন বিভাগের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
আটকে রাখা পাখিগুলির ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাখির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বন্যপাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সেই লক্ষ্যে উপকূলীয় বন বিভাগের এ ধরনের অভিযান চলামান থাকবে। বন্যপাখি ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষণ বন্ধের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এ সময় বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিলসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বাধিক পঠিত

নোয়াখালীতে পাখি শিকারীর কাছ থেকে বিক্রির জন্য আটকে রাখা ৫৪ পাখি ডানা মেলল মুক্ত আকাশে

আপডেট: ০৯:১৬:৫৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

মো: নুর হোসাইন:
নোয়াখালীতে বিক্রির জন্য আটকে রাখা খাঁচাবন্দি ৫৪টি শালিক-টিয়া-ঘুঘু পাখি জব্দ করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে মাইজদী বাজারে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় পাখি শিকারীরা বিক্রির জন্য আটকে রাখা খাঁচাবন্দি ৫৪টি শালিক-টিয়া-ঘুঘু পাখি জব্দ করে উপকূলীয় বন বিভাগ। পাখিগুলো খাঁচাবন্দি থাকায় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর উপকূলীয় বন বিভাগের পরিচর্যা ও খাদ্য সরবরাহের পর সুস্থ হলে পাখিগুলো বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরের সামনে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়। এক শ্রেণীর পাখি শিকারীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে সুবর্ণচর ও সদর উপজেলায় ফাঁদ পেতে অহরহ পাখি শিকার করে চলছে। তাদের হাত থেকে সুদুর সাইবেরিয়া থেকে আগত পাখিগুলোও রেহাই পাচ্ছেনা। এব্যাপারে বন বিভাগের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
আটকে রাখা পাখিগুলির ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাখির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বন্যপাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সেই লক্ষ্যে উপকূলীয় বন বিভাগের এ ধরনের অভিযান চলামান থাকবে। বন্যপাখি ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষণ বন্ধের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এ সময় বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিলসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।