১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাগাতার কর্মবিরতি শিক্ষকদের, শহীদ মিনারে অবস্থান

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশের হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে লাগাতার কর্মবিরতি। এর ফলে দেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত কাটিয়ে সকাল থেকেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ বা দাবি পূরণের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনেক শিক্ষক সকালে প্রতিষ্ঠানে হাজির হলেও ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত আছেন। কেউ কেউ সরাসরি শহীদ মিনারে যোগ দিয়েছেন অবস্থান কর্মসূচিতে। অন্যদিকে ঢাকার বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার শিক্ষক ফুয়াদ হাসান বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা ক্লাস বা পরীক্ষা নিতে পারি না। আমাদের দাবি যৌক্তিক—প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরছি না।”

রাজধানীর বেশ কিছু এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা উপস্থিত রয়েছেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের পড়াতে আগ্রহী, কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে একমত।

শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষকরা জানান, সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যেও তাঁরা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এত কিছুর পর এখন আর খালি হাতে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমরা প্রজ্ঞাপন আদায়ের পরই ক্লাসে ফিরব। এর আগে নয়।”

সর্বাধিক পঠিত

রিশাদের রেকর্ড ৬ উইকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানে হারাল টাইগাররা

লাগাতার কর্মবিরতি শিক্ষকদের, শহীদ মিনারে অবস্থান

আপডেট: ০২:২৫:০৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশের হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে লাগাতার কর্মবিরতি। এর ফলে দেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত কাটিয়ে সকাল থেকেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ বা দাবি পূরণের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনেক শিক্ষক সকালে প্রতিষ্ঠানে হাজির হলেও ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত আছেন। কেউ কেউ সরাসরি শহীদ মিনারে যোগ দিয়েছেন অবস্থান কর্মসূচিতে। অন্যদিকে ঢাকার বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার শিক্ষক ফুয়াদ হাসান বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা ক্লাস বা পরীক্ষা নিতে পারি না। আমাদের দাবি যৌক্তিক—প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরছি না।”

রাজধানীর বেশ কিছু এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা উপস্থিত রয়েছেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের পড়াতে আগ্রহী, কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে একমত।

শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষকরা জানান, সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যেও তাঁরা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এত কিছুর পর এখন আর খালি হাতে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমরা প্রজ্ঞাপন আদায়ের পরই ক্লাসে ফিরব। এর আগে নয়।”