মোঃ নুর হোসাইন-
মৃত স্বজনকে দেখতে গিয়ে চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে ৭ জন অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে তাদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৩ মে) রাতে লক্ষ্মীপুরের কমল নগরের চরবসু গ্রামের ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাড়িতে দুই পরিবারের ৭ জনকে অচেতন করে সব মালামাল লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ জন হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আসিব (২২), আবু জাকেরের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৭০), চর কাউনিয়া গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে আমিন উল্লা (৬০), লক্ষ্মীপুরের কমল নগরের চরবসু গ্রামের ইসমাইলের ছেলে দিদার হোসেন (৩২), দিলালের মেয়ে পলি আক্তার (১৭), মোদাব্বের হোসেনের স্ত্রী শামছুর নাহার (২১) ও নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী তানহা বেগম (২৫)। বাকি তিনজন সামান্য অসুস্থ
অচেতন খাদিজার ছেলে আল আমিন বলেন, আমার মামার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আত্মীয়ের জানাজা ও দাফন কাজ করার জন্য। দাফন শেষে সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে চলে যায়। এক ফাঁকে দুর্বৃত্তরা খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। সেই খাবার খেয়েই সবাই অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে ভর্তি তানহা বেগম বলেন, সবাই জানাজা ও দাফন কাজে ব্যস্ত ছিল। আমরা ঘরে ছিলাম। এক অপরিচিত মহিলা মোবাইল চার্জ দিতে আসে। চার্জ দিয়ে তিনি চলে যান। তারপর আমরা যারা ভাত খেয়েছি সবাই অজ্ঞান হয়ে যাই। আমিও অজ্ঞান ছিলাম। এই সুযোগে তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই পরিবারের ৭ জন অসুস্থ হয়ে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মেশানো ছিল।