২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইসকন’ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৪৪:৪২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৮৩৭

দেশজুড়ে সহিংসতা, হত্যা, হুমকি ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ইসকনের কিছু সদস্য সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন এলাকায় সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন, যা দেশের শান্তি ও ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

ঢাবি শিক্ষার্থী মাহতাপ ইসলাম বলেন, “জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় পঞ্চগড়ে খতিব মহিবুল্লাহকে ইসকন সদস্যরা অপহরণ করে নির্যাতন চালিয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রসমাজ গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় প্রভাবের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিচালনার অপচেষ্টা চলছে। আগস্ট বিপ্লবে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি—বাংলাদেশ কোনো বিদেশি প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চলবে না।”

তিনি আরও বলেন, “ভারত এখনো ইসকনকে ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলী হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনায় ইসকন সদস্যদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। স্বৈরাচারের মতোই ইসকনকেও বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে হবে।”

আরেক শিক্ষার্থী সাদমান আব্দুল বলেন, “ইসকন শুরু থেকেই একটি জঙ্গি সংগঠনের মতো আচরণ করছে। তারা ভারতীয় নির্দেশনায় দেশের মুসলিম সমাজে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। গাজীপুরে কিশোরী ধর্ষণ ও খতিব অপহরণসহ একাধিক ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে আমরা রক্ত দিয়েছি। সেই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি বা ইসলামবিরোধী সংগঠন সক্রিয় থাকতে পারে না। প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি—অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”

বিক্ষোভকারীরা আরও জানান, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তারা আরও বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা “আমার সোনার বাংলায় ইসকনের ঠাঁই নাই”, “ব্যান ব্যান ইসকন”, “ইসকন আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার”, “প্রশাসন দর্শক, ইসকন তুই ধর্ষক”সহ নানা প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।

সর্বাধিক পঠিত

২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৩ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা

‘ইসকন’ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট: ১১:৪৪:৪২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

দেশজুড়ে সহিংসতা, হত্যা, হুমকি ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ইসকনের কিছু সদস্য সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন এলাকায় সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন, যা দেশের শান্তি ও ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

ঢাবি শিক্ষার্থী মাহতাপ ইসলাম বলেন, “জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় পঞ্চগড়ে খতিব মহিবুল্লাহকে ইসকন সদস্যরা অপহরণ করে নির্যাতন চালিয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রসমাজ গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় প্রভাবের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিচালনার অপচেষ্টা চলছে। আগস্ট বিপ্লবে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি—বাংলাদেশ কোনো বিদেশি প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চলবে না।”

তিনি আরও বলেন, “ভারত এখনো ইসকনকে ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলী হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনায় ইসকন সদস্যদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। স্বৈরাচারের মতোই ইসকনকেও বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে হবে।”

আরেক শিক্ষার্থী সাদমান আব্দুল বলেন, “ইসকন শুরু থেকেই একটি জঙ্গি সংগঠনের মতো আচরণ করছে। তারা ভারতীয় নির্দেশনায় দেশের মুসলিম সমাজে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। গাজীপুরে কিশোরী ধর্ষণ ও খতিব অপহরণসহ একাধিক ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে আমরা রক্ত দিয়েছি। সেই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি বা ইসলামবিরোধী সংগঠন সক্রিয় থাকতে পারে না। প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি—অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”

বিক্ষোভকারীরা আরও জানান, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তারা আরও বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা “আমার সোনার বাংলায় ইসকনের ঠাঁই নাই”, “ব্যান ব্যান ইসকন”, “ইসকন আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার”, “প্রশাসন দর্শক, ইসকন তুই ধর্ষক”সহ নানা প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।