সৈয়দ মোঃ শহিদুল ইসলাম-
নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে, এর ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। ২৪ ঘণ্টায় এক-দুই ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না।
একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ আরেক দিকে বিদ্যুত না থাকার কারনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের বিক্রি নেই বললেই চলে, কল-কারখানা গুলোতে উৎপাদন পৌঁছেছে শূণ্যের কোটায়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমীক্ষায় জানা যায়, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সদর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলা সহ নোয়াখালী পল্লী বিদুৎতের গ্রাহক রয়েছে ছয় লাখের অধিক, এসব গ্রাহক পড়েছে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে। সোনাইমুড়ীর মত একই অবস্থা অন্য উপজেলাগুলোতে, রাত দিন ২৪ ঘণ্টায় চলছে লোডশেডিং সমান ভাবে।
যখন দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষ হাফিয়ে উঠছে এবং হিট স্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে, ঠিক তখনই নজির বিহীন লোডশেডিং মানে মরার ওপর খাঁড়ার-ঘা।
এদিকে টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বেগমগঞ্জের একমাত্র ভারী শ্ল্পি প্রতিষ্ঠান ডেল্টা জুট মিল, বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী ও নোয়াখালী বিসিক শিল্প নগরীসহ জেলা উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট বড় তিন শতাধিক এর বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তার পাশাপাশি কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মুজরী এবং মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরীর মালিক সমিতির সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎতের অভাবে কলকারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার পথে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া দিতে হচ্ছে। এ দিকে চৌমুহনীতে প্রায় ৪০ হাজার ও মাইজদীতে প্রায় ৭৬ হাজার গ্রাহক রয়েছে পিডিবির। এসব গ্রাহক লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে। লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী ও জেলা শহর মাইজদীতে ব্যবসা পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। ব্যবসায়ীরা জেনোরেটর দিয়ে সমস্যার সমাধান করছে। পাশাপাশি সোনাইমুড়ী সহ জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায়র শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বিঘ্ন ঘটছে।
লোডশেডিং বিষয় সোনাইমুড়ী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আলতাফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের করার কিছু নেই, যা পাচ্ছি তাই দিচ্ছি। নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের জিএম জাকির হোসেনের নম্বরে একাধিক বার ফোন দেয়া হলে তাকে ফোন পাওয়া যায়নাই।