ছবি: সংগৃহীত
দেশে ১১ জেলায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ। এর আগে রোববার পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২০ এবং ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ছিল ৫২ লাখ। সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সচিব বলেন, দেশের ১১টি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। জেলাগুলো হলো: ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।
তিনি বলেন, এসব এলাকার ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত ২৩ জন মারা গেছেন।
দুর্গত এলাকায় ৬৪৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা নগদ, শিশুখাদ্যের জন্য ৩৫ লাখ টাকা, পশুখাদ্যের জন্য ৩৫ লাখ টাকা, ২০ হাজার ৬৫০ টন চাল, ১৫ হাজার বস্তা শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জন রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই। ফলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান জানান, বন্যায় নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না এবং হওয়ার আশঙ্কা নেই।
এদিকে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যাকবলিত জায়গায় দ্রুত সময়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য পরিচালনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।