২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডি-নথির যুগে প্রবেশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট: ১০:৫১:৩১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
  • ২১৬২

স্টাফ রির্পোটার:
কাগজবিহীন অফিস প্রতিষ্ঠায় দাপ্তরিক নথি ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণে ডিজিটাল নথির (ডি-নথি) যুগে প্রবেশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে এক অনুষ্ঠানে ডি-নথি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।

নোবিপ্রবি আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে ও আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট মো. মাঈনুদ্দিন ‘ডি-নথি কি এবং কেন’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, আজ নোবিপ্রবি ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ডি-নথি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি, আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ব্রিটিশ আমলের সেই লালফিতার দৌরাত্ম্য থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সময় বাঁচিয়ে দ্রæততার সঙ্গে কাজ করা। ডি-নথি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাগজ ও কলমের ব্যবহার কমিয়ে অপচয় রোধে এখন থেকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দাপ্তরিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে ডি-নথির কোনো বিকল্প নেই। আমরা প্রথমত সংস্থাপন ও শিক্ষা শাখায় ডি-নথি বাস্তবায়নের কাজ শুরুকরলেও পরবর্তীতে সবগুলো দপ্তরেই এ কার্যক্রম শুরুকরা হবে। এ কাজে নোবিপ্রবি পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ইঞ্জি. মোহাম্মদ মনির উল্লাহ বলেন, নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য মহোদয় দ্বিতীয় মেয়াদে এসেই ডি-নথি বাস্তবায়ন করছেন, এজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। ডি-নথি বিষয়ক কাজের অগ্রগতির দিক থেকে নোবিপ্রবি শীর্ষ পাঁচে রয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘ডি-নথি’ হলো ডিজিটাল নথি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডি-নথি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কাজকে সহজ করা। কিন্তু আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে কাজ সহজ করতে গিয়ে যেন জটিল না হয়ে যায়। এজন্য আমাদের ভালোভাবে জেনে-বুঝে ডি-নথি ব্যবহারে উদ্যমী হতে হবে। এক্ষেত্রে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আমরা সফলভাবে ডি-নথি বাস্তবায়ন করবো, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার ও ডি-নথি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ডি-নথি বাস্তবায়নের এই শুভক্ষণে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং যারা গ্রহণ করেছেন। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ ও দপ্তরকে তাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ইতোমধ্যেই যেসকল অফিসের কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের নিয়ে আজকের উদ্বোধনীর মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম শুরু করলাম।

সর্বাধিক পঠিত

সংবিধান দিয়েই ফ্যাস্টিট হাসিনা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে:ইসহাক খন্দকার

ডি-নথির যুগে প্রবেশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট: ১০:৫১:৩১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪

স্টাফ রির্পোটার:
কাগজবিহীন অফিস প্রতিষ্ঠায় দাপ্তরিক নথি ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণে ডিজিটাল নথির (ডি-নথি) যুগে প্রবেশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে এক অনুষ্ঠানে ডি-নথি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।

নোবিপ্রবি আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে ও আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট মো. মাঈনুদ্দিন ‘ডি-নথি কি এবং কেন’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, আজ নোবিপ্রবি ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ডি-নথি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি, আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ব্রিটিশ আমলের সেই লালফিতার দৌরাত্ম্য থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সময় বাঁচিয়ে দ্রæততার সঙ্গে কাজ করা। ডি-নথি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাগজ ও কলমের ব্যবহার কমিয়ে অপচয় রোধে এখন থেকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দাপ্তরিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে ডি-নথির কোনো বিকল্প নেই। আমরা প্রথমত সংস্থাপন ও শিক্ষা শাখায় ডি-নথি বাস্তবায়নের কাজ শুরুকরলেও পরবর্তীতে সবগুলো দপ্তরেই এ কার্যক্রম শুরুকরা হবে। এ কাজে নোবিপ্রবি পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ইঞ্জি. মোহাম্মদ মনির উল্লাহ বলেন, নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য মহোদয় দ্বিতীয় মেয়াদে এসেই ডি-নথি বাস্তবায়ন করছেন, এজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। ডি-নথি বিষয়ক কাজের অগ্রগতির দিক থেকে নোবিপ্রবি শীর্ষ পাঁচে রয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘ডি-নথি’ হলো ডিজিটাল নথি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডি-নথি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কাজকে সহজ করা। কিন্তু আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে কাজ সহজ করতে গিয়ে যেন জটিল না হয়ে যায়। এজন্য আমাদের ভালোভাবে জেনে-বুঝে ডি-নথি ব্যবহারে উদ্যমী হতে হবে। এক্ষেত্রে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আমরা সফলভাবে ডি-নথি বাস্তবায়ন করবো, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার ও ডি-নথি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ডি-নথি বাস্তবায়নের এই শুভক্ষণে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং যারা গ্রহণ করেছেন। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ ও দপ্তরকে তাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ইতোমধ্যেই যেসকল অফিসের কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের নিয়ে আজকের উদ্বোধনীর মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম শুরু করলাম।