১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’, কতটা প্রভাব পড়বে

ফাইল ফটো

আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’য় পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার তথ্য জানিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ। খবর রয়টার্সের।

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ‘আসনা’ ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ভারতের গুজরাটের ভুজ অঞ্চল থেকে ১৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে এবং করাচি থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ আঘাত হানতে পারে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের পাশাপাশি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধের উপকূলে। এর পর এটি উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের ওপর দিয়ে ওমানের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

জানা গেছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে গুজরাটে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই এলাকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলা কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষার মৌসুমে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বিরল। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী প্রতিরোধের জন্য নিম্নচাপগুলো ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে না।

পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগের (পিএমডি) মহাপরিচালক মেহের সাহেবজাদা খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আসনা করাচি-গোয়াদার উপকূলে তৈরি হয়েছে। যার ফলে পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার পর ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

পিএমডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিন্ধের প্রাদেশিক সরকারকে ঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে বলেছে। সিন্ধের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক বর্ষণ হচ্ছে বলেও জানা গেছে। বর্ষণের কারণে ঝড় আসার আগেই সিন্ধের কয়েকটি স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তারা।

প্রসঙ্গত, ১৮৯১-২০২৩ সালের মধ্যে আরব সাগরে মোট তিনটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। তবে আগস্ট মাসে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় একটি বিরল ঘটনা।

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’, কতটা প্রভাব পড়বে

আপডেট: ১১:১৩:১৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৪

ফাইল ফটো

আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’য় পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার তথ্য জানিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ। খবর রয়টার্সের।

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ‘আসনা’ ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ভারতের গুজরাটের ভুজ অঞ্চল থেকে ১৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে এবং করাচি থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ আঘাত হানতে পারে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের পাশাপাশি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধের উপকূলে। এর পর এটি উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের ওপর দিয়ে ওমানের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

জানা গেছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে গুজরাটে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই এলাকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলা কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষার মৌসুমে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বিরল। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী প্রতিরোধের জন্য নিম্নচাপগুলো ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে না।

পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগের (পিএমডি) মহাপরিচালক মেহের সাহেবজাদা খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আসনা করাচি-গোয়াদার উপকূলে তৈরি হয়েছে। যার ফলে পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার পর ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

পিএমডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিন্ধের প্রাদেশিক সরকারকে ঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে বলেছে। সিন্ধের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক বর্ষণ হচ্ছে বলেও জানা গেছে। বর্ষণের কারণে ঝড় আসার আগেই সিন্ধের কয়েকটি স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তারা।

প্রসঙ্গত, ১৮৯১-২০২৩ সালের মধ্যে আরব সাগরে মোট তিনটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। তবে আগস্ট মাসে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় একটি বিরল ঘটনা।