
মোঃ নুর হোসাইন:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে নোয়াখালীতে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন সর্ব দলীয় ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টায় জেলা জামে মসজিদ মোড়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জুলাই ঐক্যের ব্যানারে কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, ছাত্রশিবির, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র ও যুব আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে, জাতীয় নাগরিক কমিটি রেড জুলাইসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এদিন বিকেল ৫টার দিকে তারা কর্মসূচি তুলে নেন। এসময় শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহবুবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী শহর সেক্রেটারি মোঃ মায়াজ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ সভাপতি, যুব অধিকারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন ইমরান, খেলাফত যুব মজলিসের জেলা সভাপতি । এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক ফরহাদুল ইসলাম, মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান আরিফ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য কাজী মাইনুদ্দিন তানভির, মোঃ নুর হোসাইন , যুব অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি ওসমান গনি রুবেল প্রমুখ ।
এর আগে, সুপার মার্কেটের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বড় মসজিদ মোড়ে আসে ছাত্র-জনতা। এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ, ব্যান ব্যান’সহ নানা স্লোগান দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা।
ব্লকেড কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে হাজারো ছাত্রের রক্ত লেগে আছে, রক্ত মাখা হাতে তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা এবং গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে এ দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত দিয়েছে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজকে ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে। এতদিন পার হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির শামিল।