স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ড. দিদারুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মেইলের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান বলে জানা যায়। তার পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
একই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) স্বমনয়ক আলজকি হোসেন।
ড. দিদারুল আলমের পদত্যাগ পত্রে বলা হয়েছে, তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার (ক) স্মারকের মাধ্যমে প্রথম মেয়াদে এবং (খ) নং স্মারকের মাধ্যমে ভাইস চ্যান্সেলর পদে দ্বিতীয় মেয়াদে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যোগদান করি। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি অনতিবিলম্বে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এর পদ থেকে পদত্যাগ করছি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩০শে জুন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা,পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগেরর অধ্যাপক চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) স্বমন্বয়ক আলজকি হোসেন বলেন, এখনো উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকি ও রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিনের পদত্যাগ করেনি। তাদের পদত্যাগের দাবিতেও আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ড. দিদারুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হল তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ড. দিদারুল আলম, উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকি ও রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ১০ আগস্ট শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবির সমন্বয়ক বনী ইয়ামিন এ ঘোষণা দেন।এসসময় সংবাদ সম্মেলনে নোবিপ্রবি সমন্বয়ক মেহেদি হাসান আরিফ„ মোঃ হাসিব„সীমান্ত সহ অন্যান্য সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ১৮ আগস্ট উপাচার্য দিদারুল আলমকে স্বৈরাচারের দোসর উল্লেখ করে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্য,উপ-উপাচার্য ডা.মোহাম্মদ আব্দুল বাকি ও রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর দুদিন পর তিনি পদত্যাগ করেন।