নুর হোসেন:
নোয়াখালীর প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র মাইজদী শহরের প্রধান সড়ক ও সদর পশ্চিমাঞ্চল, লক্ষীপুরের সাথে সংযোগ সড়ক এটি। এখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইসলামিয়া সড়কের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক সংলগ্ন সড়কের মাথায় পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে অহরহ। সদর পশ্চিমাঞ্চল ও হাউজিং কৃষ্ণরামপুর এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তি ভোগ করতে হয় দিনের পর দিন। তাছাড়া প্রধান সড়কে যানজট থাকলে বিকল্প হিসাবে রোগীবাহী এম্ব্যুলেন্সগুলি মুমুর্ষরোগীকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী সদর হাসপাতালে জরুরীভিত্তিতে ভর্তি করার জন্যও এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে।
বিগত সরকারের সময়ে সরকার সমর্থনপুষ্ট কিছু ব্যক্তি সোনাপুর থেকে মাইজদী পর্যন্ত সিএনজি থেকে চাঁদাবাজি করত। তাদের এই চাঁদাবাজিতে পুলিশ থাকত নির্বিকার। যানজট নিরসনে পুলিশ উদ্যোগ নিলেও জেলা পর্যায়ে উপর থেকে ফোন আসায় যানজট মুক্ত হতোনা। যত্রতত্র ফেলিয়ে রাখত সিএনজি। এত সিএনজি নোয়াখালী জেলা শহরে চলে তার কোন সঠিক হিসাব নাই। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল দত্ত জানান, বহুবার উদ্যোগ নেয়া হলেও আবার সিএনজি এর ড্রাইভাররা এলোমেলোভাবে রাস্তা দখল করে রাখে।
এদিকে আজ যানজটে দিশেহারা হয়ে স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পুলিশের টি.আই জনাব শিহাব উদ্দিন দৈনিক কালবেলাকে জানায়, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা সকল সিএনজি ও মালবাহী গাড়িগুলিকে। তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনার পূণরাবৃত্তি ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।