১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: চোখে গুলি নিয়ে দিন কাটছে রাশেদের

নুর হোসাইন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় দোকান কর্মচারী মোঃ রাশেদ। চিকিৎসা হলেও বর্তমানে চোখের নিছে ও মাথায় তিনটা, বামহাতে তিনটা এবং চোখের নিছে একটা মোট সাতটা বুলেট বহন করে দিন পার করতেছে সে। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কাদির হানিফ ইউনিয়নের মনপুর গ্রামে।

 

জানা যায় গত ০২ আগষ্ট বিকালে নীলক্ষেত মোড়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এসময় ঢাকা নিউমার্কেটের মরিয়ম লেইস হাউসের কর্মচারী মোঃ রাশেদ গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ রাশেদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আন্দোলনকারী ও স্থানীয়রা পপুলার হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকায় এবং তার কোন গার্ডিয়ান না থাকায় ডাক্তার কয়েকটি বুলেট বের করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ করে দেয়। পরে  শিকদার মেডিকেল কলেজের এক নার্স রাশেদকে বাসায় নিয়ে যায়। এবং বাসার নিছে চিকিৎসা দেয়। পরবর্তীতে মোটামুটি সুস্থ হলে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে সে। নোয়াখালীতে আসার পর তার পরিবার তাকে নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ডা. সাইফ মোহাম্মদ ফাহাদকে দেখালে ডাক্তার তাকে জরুরীভিত্তিতে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে অথবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পক্ষ থেকে কেউ তার খোঁজখবর নেয়নি। শরীরে বুলেট বহন করে অনিশ্চিত ভবিষ্যত জীবনের কথা ভেবে চিন্তা টেনশনে জীবনপার করছে রাশেদ ও তার পরিবার।

 

সর্বাধিক পঠিত

নোবিপ্রবি ছাত্রী হলে অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: চোখে গুলি নিয়ে দিন কাটছে রাশেদের

আপডেট: ১০:৪৬:৫২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

নুর হোসাইন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় দোকান কর্মচারী মোঃ রাশেদ। চিকিৎসা হলেও বর্তমানে চোখের নিছে ও মাথায় তিনটা, বামহাতে তিনটা এবং চোখের নিছে একটা মোট সাতটা বুলেট বহন করে দিন পার করতেছে সে। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কাদির হানিফ ইউনিয়নের মনপুর গ্রামে।

 

জানা যায় গত ০২ আগষ্ট বিকালে নীলক্ষেত মোড়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এসময় ঢাকা নিউমার্কেটের মরিয়ম লেইস হাউসের কর্মচারী মোঃ রাশেদ গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ রাশেদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আন্দোলনকারী ও স্থানীয়রা পপুলার হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকায় এবং তার কোন গার্ডিয়ান না থাকায় ডাক্তার কয়েকটি বুলেট বের করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ করে দেয়। পরে  শিকদার মেডিকেল কলেজের এক নার্স রাশেদকে বাসায় নিয়ে যায়। এবং বাসার নিছে চিকিৎসা দেয়। পরবর্তীতে মোটামুটি সুস্থ হলে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে সে। নোয়াখালীতে আসার পর তার পরিবার তাকে নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ডা. সাইফ মোহাম্মদ ফাহাদকে দেখালে ডাক্তার তাকে জরুরীভিত্তিতে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে অথবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পক্ষ থেকে কেউ তার খোঁজখবর নেয়নি। শরীরে বুলেট বহন করে অনিশ্চিত ভবিষ্যত জীবনের কথা ভেবে চিন্তা টেনশনে জীবনপার করছে রাশেদ ও তার পরিবার।